শেখ রাসেল পার্কে বন্য কুকুরের হানা, মারা গেল দুই হরিণ!

গাফিলতির অভিযোগ

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল অ্যাভিয়ারি অ্যান্ড ইকোপার্কে খাঁচায় থাকা দুটি হরিণ মেরে ফেলেছে বন্য কুকুর দল। কুকুরগুলো হরিণের খাঁচার নিচ দিয়ে সিঁদ কেটে ঢুকেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ।

সোমবার (৩ জুন) সকালে এই ঘটনা ঘটে। দিনের বেলায় এমন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত কর্মীদের অবহেলা হিসেবে দেখছেন স্থানীয় ও সংম্লিষ্টরা।

হরিণের মৃত্যুর ঘটনার জন্য বনবিভাগের উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্তে দায়িত্ব অবহেলায় হরিণের মৃত্যুর প্রমাণ পেলে সংম্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন বনবিভাগ।

স্থানীয় লোকজন ও সংম্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার সকালে ৬ থেকে ৭টি বন্য কুকুর পার্কে ঢুকে খাঁচায় থাকা ৪টি চিত্রা ও মায়া হরিণের ওপর আক্রমণ করে। এই সময় দুটি হরিণকে কামড়ে মেরে ফেলে। পরে চিৎকার শুনে পার্কের কয়েকজন কর্মী গিয়ে কুকুরগুলোকে ধাওয়া করে দুটি হরিণকে রক্ষা করে। তবে খাঁচায় থাকা অন্য দুটি হরিণসহ ঝুঁকির মুখে রয়েছে অন্যান্য খাঁচায় থাকা বিদেশ থেকে আনা মূল্যবান পক্ষীরাও।

এ বিষয়ে পার্কের জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট হাসিবুর রহমান বলেন, ‘খাঁচার পাশে জাকেরুল ইসলাম নামে এক কর্মীর দায়িত্ব থাকার কথা। কিন্তু তিনি ওই সময়ে ছিলেন না। ’

পার্কের পরিচালক ও বনবিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা নাহিদ হাসানের দাবি, খুব ভোরবেলা কিছু বন্য কুকুর পার্কে ঢুকে পড়ে। খাঁচার পাশে সিঁদ কেটে মায়া ও চিত্রা দুটি হরিণ মেরে ফেলে। মৃত হরিণ দুটির ময়না তদন্ত করা হবে। বেঁচে যাওয়া অন্য দুটি হরিণকে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’

অভিযোগ রয়েছে, পার্কের প্রকল্পভুক্ত বেশিরভাগই কর্মী নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন না। মাস শেষে বেতন তুলে নেন। অনেকে আবার বদলি লোক লাগিয়ে নিজেদের দায়িত্ব সারেন। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে অসহায় বনবিভাগের দায়িত্বশীলরাও। তবে এই বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজী হননি সংশ্লিষ্টরা।

এভাবে সংশ্লিষ্টদের অযত্ন-অবহেলা আর নানা অব্যবস্থাপনায় পার্কের ক্যাবল কার চালু থাকলেও দর্শনার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন সচেতনমহল।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হরিণের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে কারো দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চাটগাঁ নিউজ/জগলুল/এসএ

Scroll to Top