শুরু নির্মাণকাজ, এক বছরেই মাথা উঁচিয়ে দাঁড়াবে নগর ভবন

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রায় ১৪ বছর পর শুরু হলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নগর ভবন নির্মাণকাজ। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে ২১ তলা ভবনের ৩ তলা মাথা উঁচিয়ে দাঁড়াবে।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লায় নগর ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। নিজস্ব অর্থায়নে এ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র।

উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, পুরোনো নগর ভবনের স্থানে পার্শ্ববর্তী আরও দুটি ভবনের স্থান সংযুক্ত করে এ আইকনিক নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনটি বেইসমেন্টসহ পুরো নগর ভবন হবে ২১ তলা। এ ভবনের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করা হলো আজ। আমাদের লক্ষ্য ২৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রথম ধাপের কাজের অংশ হসেবে ৫-৬ তলা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করে টাইগারপাস থেকে আন্দরকিল্লায় চলে আসা। বাকি অংশ ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।

তিনি বলেন, স্থায়ী নগর ভবন না থাকায় বিদেশি অতিথিরা আসলে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো। নাগরিকদেরও সেবা প্রদান বিঘ্নিত হতো। এজন্য নিজস্ব ফান্ডে নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এ ভবনে নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দে সেবা নিতে পারবেন। এছাড়া এ ভবনের একটি ফ্লোরে চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে গড়ে তোলা হবে জাদুঘর।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩৮ হাজার ৪৯০ বর্গফুট বা ৫৩ দশমিক ৪৫ কাঠা জায়গায় নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। ভবনের ওপরে থাকবে সিটি ক্লক। ভবনের তিন পাশে সাজানো বাগান থাকবে। নির্মাণ করা হবে ফোয়ারা। থাকবে মাল্টিপারপাস হল, কনফারেন্স হল ও ব্যাংকুয়েট হল। তবে পুরো নগর ভবন নির্মাণ করা হবে ধাপে ধাপে। শুরুতে বেইসমেন্টসহ তিনটি ফ্লোর নির্মাণ করা হবে।

এজন্য প্রথমধাপে ২৮ কোটি ৮০ লাখ টাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড ও মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে জেবি (জয়েন্ট ভেঞ্চার) কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গতবছর (২০২৩ সালে) পুরাতন নগর ভবন ভাঙার কাজ মঈনুদ্দিন জাবেদ ট্রেডিং নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি পুরাতন ভবনের ভাঙার কাজ শেষ হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, মো. ইলিয়াছ, মো. আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী, রুমকি সেনগুপ্ত, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট অফিসার মো. রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা, রেজাউল বারী ভূইঁয়া, মীর্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, রিফাতুল করিম, তাসমিয়া তাহসীন, তৌহিদুল ইসলাম, সালমা খাতুন, সহকারী প্রকৌশলী আসীর হামীম।

জানা গেছে, ২০১০ সালের ১১ মার্চ নগর ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এরপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) দুজন মেয়র এবং একজন প্রশাসক দায়িত্ব পালন করলেও অর্থ সংকট, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না পাওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতায় সেই উদ্যোগ থমকে ছিল।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top