চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক) টোল আদায় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান পতেঙ্গা থেকে শহরের মধ্যভাগ লালখানবাজার পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান নুরুল করিম বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) সকাল ১০টায় উদ্বোধনের পর থেকে টোল আদায় কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।’
২০২৩ সালের নভেম্বরে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন হলেও যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২৮ আগস্ট থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। গত ২৮ অক্টোবর সিডিএ’র নবগঠিত বোর্ডের প্রথম সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নতুন টোল হার নির্ধারণ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেই প্রস্তাব মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেওয়ার পর টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলার ব্যতীত মোট ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এরমধ্যে প্রাইভেট কারকে ৮০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ১৫০ টাকা, মিনিবাস ২০০ টাকা, বাস ২৮০ টাকা, চার চাকার ট্রাক ২০০ টাকা, ছয় চাকার ট্রাক ৩০০ টাকা, কাভার্ড ভ্যানকে চলাচলের জন্য ৪৫০ টাকা টোল দিতে হবে।
এদিকে সিডিএ’র বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে প্রথম নিহত কলেজ ছাত্র ওয়াসিম আকরামের নামে এর নামকরণের প্রস্তাব উঠেছে। টোল আদায় কার্যক্রম উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে পারেন।
এদিকে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সিডিএ’র বোর্ড সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ওই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পায়।
উল্লেখ্য, চার হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫৪ ফুট প্রশস্ত চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। গত বছরের নভেম্বরে এর উদ্বোধন হলেও যান চলাচলের জন্য তখন পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয়নি। ২৪টি লুপ ও ১৪টি র্যাম্প নির্মাণের জন্য প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর ৫টি র্যাম্প আপাতত নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ