সিপ্লাস ডেস্ক: বাজারে এসেছে শীতকালীন প্রায় সব ধরনের সবজি। কিন্তু নানা অজুহাতে কমছে না এসব সবজির দাম।
একের পর এক কারণ হাজির করে দাম বাড়তি নেওয়া হচ্ছে কেজিতে পাঁচ থেকে সাত টাকা।
ভোক্তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবছর শীতকালীন সবজির বাজার চড়া।
নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। সবজি বাজারে গেলে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলছে না।
দেখা যায়, শীতের আগাম সবজি আসতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের সবজির বাজারে। বেচাকেনায় সরব থাকলেও যোগানের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়াতে বেশিরভাগ সবজির দাম নাগালের বাইরে। বাজারে রয়েছে শীতকালীন মুলা, বাঁধাকপি, শসা, ধনিয়া পাতা, লাউ, বেগুন ও টমেটোসহ নানা সবজি। সরবরাহ বেশি হলেও কমেনি দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে অনেক সবজি; এতে কমেছে যোগানও। আর এ কারণেই বাড়তি দাম। এরমধ্যে অবরোধে গাড়ি ভাড়াও বেশি দিতে হচ্ছে। গ্রাম থেকে সবজি আনতে নানা হয়রানি। এসব কারণে সবজির দাম তেমন একটা কমছে না।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) নগরের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ধনিয়া পাতা ৯০ থেকে ৯৫ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা, মরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, পুঁইশাক ২০ থেকে ২৫ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, তিতকরলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী রফিক উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, অবরোধে সবজি আনতে খরচ একটু বেশি লাগছে। তাই আমরা দু-এক টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুইপাশে প্রতিদিন কোটি টাকার সবজি বেচাকেনা হতো। কিন্তু এখন তা কমে গেছে।