চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ইংরেজি নববর্ষ ঘিরে নগরীর ফুলের দোকানগুলোতে চলছে বিক্রির মহোৎসব। নতুন বছরের প্রথম দিনের প্রথম প্রহরে প্রিয় মানুষের হাতে একটি গোলাপ, প্রিয়জনের খোঁপায় রজনীগন্ধা কিংবা অর্কিডের একটি থোকা গুঁজে দিতে মন যেন উশখুশ করছে। পাড়ায় মহল্লায় চলছে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। কেউ বন্ধু-বান্ধব, কেউ পরিবার-পরিজন, আর কেউ অফিস সহকর্মীরা মিলে নববর্ষকে বরণে চলছে নানা আয়োজন। খানদানী খাবার-দাবার, পান-ভোজনে মাতবে নতুন বছরের প্রথম রজনী। শীতের হিম হিম রাত যেন সরগরম হয়ে উঠবে নববর্ষের নব জাগরণে।
ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত অবধি চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার চেরাগী পাহাড় এলাকার ফুলের দোকানগুলো ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে। গাঁদা, রজনীগন্ধা, অর্কিড, গোলাপ, ডালিয়া, টগর, কাবেরীসহ নানা জাতের পাতাবাহার ফুলের পসরা সাজিয়েছে এখানকার দোকানগুলো। দোকানে দোকানে ভিড় করেছেন তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীসহ নানা বয়সী মানুষ।
শুধু চেরাগী পাহাড় নয়, নববর্ষ উপলক্ষে নগরীর বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেইট, প্রবর্তক মোড়, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, ইপিজেড মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় গজিয়ে ওঠা দোকানগুলোতে দেশি-বিদেশি ফুলের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। ফুল কিনতে সব দোকানেই ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
নববর্ষ উদযাপনে নগরীতে বেশ জনপ্রিয় ভবনের ছাদ আয়োজন। পাড়া-মহল্লায় টিনএজ তরুণ-তরণী, যুবক-যুবতীরা বনভোজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন করে চলেছে। এবার আতশ বাজি, পটকা পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও উদ্যমী, উচ্ছ্বাসিতরা বাজি পুড়িয়ে নববর্ষ বরণে প্রস্তুত বলা যায়।
চান্দগাঁও পুরাতন থানা এলাকাস্থ সৌদিয়া ভবন নিবাসী সিহাব বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে আমার পুরো ভবনের বাসিন্দারা বনভোজনের আয়োজন করেছি। সবার পরীক্ষা শেষ। শীতের মৌসুম। তার উপর আবার নববর্ষ । প্রতিবছরই আমরা থার্টি ফার্স্ট নাইটে বনভোজন, সাংস্কৃতিক রজনীর আয়োজন করে থাকি। এবার পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে আতশ বাজির আয়োজন রাখা হয়নি। মুরুব্বিরা পরামর্শ দিয়েছেন আতশ বাজির টাকা দিয়ে এবার আগামীকাল দুপুরে আকনি পাকানো হবে। এজন্য উনারাও আমাদেরকে চাঁদা দিয়ে উৎসাহিত করেছেন।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ