চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন আগামীকাল (৮ জুন) শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর এ নির্বাচনকে ঘিরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। শেষ মুহুর্তে পার্থীরা নিজের যোগ্যতাকে জানান দিতে ভোটারদের সাক্ষাৎ ও ফোনে আলাপ সারছেন। একজন আরেকজনের সাথে হাত মেলাচ্ছেন, কোলাকুলি করে শুভকামনা জানাচ্ছেন।নির্বাচনের মাধ্যমে সংস্কৃতি চর্চার সকল অন্ধকার দূর করা সম্ভব বলে জানান প্রার্থীরা।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এজন্য সব প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে বলে জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক একাডেমির পদাধিকার বলে সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
শনিবার (৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন ২০২৪। ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে তিনটি বুথ তৈরি, এজেন্টদের কার্ড বিতরণসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ।
সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অঞ্চল কুমার চৌধুরী, এসকেএস মাহমুদ (আলোক মাহমুদ), তাপস শেখর ও দীপেন কান্তি চৌধুরী।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (হাসান জাহাঙ্গীর) ও সাইফুল আলম বাবু।
যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন। তারা হলেন- আলাউদ্দিন তাহের, কঙ্কন দাশ, কমল দাশ, মো. জামশেদ উদ্দীন, মো. শহিদুল করিম চৌধুরী নিন্টু ও মুহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন।
কার্যকরী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১০ জন। তারা হলেন-আশিকুর রহমান, বাপ্পা চৌধুরী, বিশ্বজিৎ পাল, মো. আকরাম হোসেন (বাপ্পী আলমগীর), মোহাম্মদ আলী (আলী প্রয়াস), মো. সেলিম রেজা সাগর, মো. হানিফ খন্দকার, রুবেল দাশ প্রিন্স, রহিমা খাতুন লুনা ও সামশুল হায়দার তুষার।
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, এবারের নির্বাচনে ৬২৪ জন ভোট দেবেন। এটি চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির দ্বিতীয় নির্বাচন। ২০১৮ সালের ২১ জুলাই প্রথম নির্বাচন হয়েছিল। তিন বছর মেয়াদ ছিল কমিটির। কিন্তু করোনার কারণে পরে নির্বাচন হয়নি। ২০২৩ সালে কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। ওই কমিটিকে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে গত ২ মে তফসিল ঘোষণা করা হয়।
তিনি জানান, তিনটি বুথে প্রত্যেক প্রার্থীর তিনজন করে এজেন্ট থাকবে। দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকবে। এখনো পর্যন্ত কোনো প্রার্থী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেনি কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস