চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ছয় বছরের মেয়েশিশুটিকে লেগুনায় করে নিয়ে যাচ্ছিল ১৪ বছরের এক কিশোরী। কান্না করছিল শিশুটি। যাত্রীরা জানতে চাইলে শিশুটির মা পরিচয় দেয় ওই কিশোরী। লেগুনায় থাকা তরুণের সন্দেহ জাগে। পরে লেগুনাটি পার্শ্ববর্তী থানায় নিয়ে যাওয়া হলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। মূলত শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের অক্সিজেন-২ নম্বর গেট সড়কের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। পরে এই ঘটনায় শিশুটির বাবার করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মো. সাইফুল ইসলাম (৩১), রাউজান পৌরসভা এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নোয়াখালীর রামগতির জান্নাতুল ফেরদৌস (১৫) ও বায়েজিদ এলাকার হীরা আকতার টুনি (১৭)। দুই কিশোরীকে সেফ হোমে এবং দুই আসামিকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার এএসআই সজীব।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার বিকেলে জেলার হাটহাজারী থানার এগারোমাইল এলাকায় বাড়ির সামনে খেলার সময় ছয় বছরের শিশুটিকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণ করে ১৪ বছরের ওই কিশোরী। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে এই ঘটনায় শিশুটির বাবা পেশায় সিএনজি অটোরিকশাচালক বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। হাটহাজারী থেকে এনে শিশুটিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় ১৬ বছর বয়সী আরেক কিশোরীর বাসায় রাখে। সেখান থেকে গতকাল বিকেলে লেগুনায় করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অন্য স্থানে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লেগুনাযাত্রী রিয়াজ কবির জানান, অক্সিজেন থেকে ছেড়ে আসা লেগুনাতে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের সামনে থেকে ওঠেন তিনি। লেগুনাটি বায়েজিদ বোস্তামী মাজারে গেটে এলে এক শিশুকে নিয়ে ওঠে আরেক যাত্রী। কিছু দূর যাওয়ার পর শিশুটি কান্না করতে থাকে। কারণ জানতে চাইলে মা পরিচয় দিয়ে কিশোরী বলে, পুতুলের জন্য। এ সময় সহযাত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাও শিশুটির কান্নার বিষয়ে জানতে চান। এতে আরও শঙ্কিত হয়ে যায় ওই কিশোরী। রিয়াজ লেগুনার চালককে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় নিয়ে যেতে বলেন। শিক্ষিকা ওই কিশোরীকে ধরে রাখেন, যাতে লেগুনা থেকে নামতে না পারে। এসময় লেগুনায় থাকা আরও কয়েকজন যাত্রী বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁরা বায়েজিদ থানায় ঢোকার আগে নেমে যান। এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সব স্বীকার করে কিশোরী। পরে হাটহাজারী থানা পুলিশ এসে নিয়ে যায় কিশোরী ও শিশুটিকে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ