আছহাব ওশান চৌধুরী, কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে এ বছর লবণ উৎপাদনের রেকর্ড গড়েছে, সেই সাথে ভেঙেছে বিগত ৬৩ বছরের রেকর্ড। চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদনের পরিমাণ হল ২৪ লাখ ৩৮ হাজার টন যা আগের বছর হয়েছিল ২২ লাখ ৩৩ হাজার টন। তাই খুবই খুশি কক্সবাজারের লবণ চাষীরা। তারা বলেছেন এ বছর লবণ উৎপাদন বেশি পরিমাণে হওয়াতে লাভবান হয়েছেন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর হিসেবে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ-কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাহ, কুতুবদীয়া ও চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালীতে এবছর ৬৮ হাজার ৩০০ একর জমিতে লবণ চাষ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ২ হাজার হেক্টর বেশী।
কক্সবাজার লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি শামসুল আলম আজাদ জানান, রেকর্ড পরিমান লবণ উৎপাদন হলেও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত এই লবণ উৎপাদন শিল্প খাত। তার মধ্যে রয়েছে দালাল প্রতারক। তারা কৃষক এবং ভোক্তার মাঝখানে বিভিন্ন রকমের অহেতুক হাত বদল করে কৃষকের কাছ থেকে লবণ তাদের হাতে নিয়ে নেয়। যার কারণে কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই শিল্পকে ধরে রাখতে লবণের মাঠ যেন সারা বছর লবণের মাঠই থাকে সেদিকে সরকারের বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার একমাত্র জেলা যেটি পুরো বাংলাদেশকে লবণ সরবরাহ করে। কিন্তু এই জেলায় লবণ পরিবহনের যে রাস্তা সেটি ভঙ্গুর এবং খুবই সংকীর্ণ। যার কারণে লবণ ব্যবসায়ীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। এভাবেই চলতে থাকলে বিভিন্ন শিল্পের মত এই লবণ শিল্প একদিন হারিয়ে যাওয়ার ভয় করছেন লবণ শিল্প সংশ্লিষ্টরা। দেশের ব্যাংক সমূহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করলেও লবণ চাষীদেরর বিনিয়োগে তাদের আগ্রহ নেই বলেও জানিয়েছেন এই লবণ ব্যবসায়ী। যদি বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো লবণ খাতকে বাঁচাতে ছোট ছোট ক্ষুদ্র ঋণ লবণ চাষীদের প্রদান করে তাতে লবণ খাত আরো এগিয়ে যাবে।
কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয় উপ মহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভূঁইয়া জানিয়েছেন, এবছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৫ লক্ষ ২৮ হাজার টন তা স্পর্শ করতে না পারলেও এখন পর্যন্ত ২৪ লক্ষ ৩৮ হাজার টন লবণ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে/এসআইএস