চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সিজনাল রোগ দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। বিশেষ করে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা কারণে সারাদেশে বাড়ছে সর্দি-জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। এসব রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে মাল্টা খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। তবে বাজারে মাল্টার দাম এখন আকাশছোঁয়া, ফলে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে এই ফল।
রোগ-বালাই আর রোগীর চাহিদাকে পুঁজি করে মাল্টা, কমলা, আপেলসহ সবধরনের ফলমূলের দাম বেড়েছে। বর্তমানে এক কেজি মাল্টার দাম প্রায় ৫০০ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, যাদের পুঁজি করে মাল্টার দাম বেড়েছে; তারা (রোগী) যদি সেই দাম জানতে পারেন তাহলে ‘বেহুঁশ’ হওয়ার মতো অবস্থা হতে পারে! অসুখ-বিসুখ হলে ফলমূল কিনে খাওয়ার অবস্থা এখন নেই। এই চড়া দামের কারণে অনেক ক্রেতাই ফল কিনতে চাইলেও সামর্থ্যের বাইরে থাকায় কিনতে পারেন না।
চট্টগ্রাম নগরীর পাইকারি ও খুচরা বাজার গুলোতে ঘুরে দেখা যায়, মাল্টার পাইকারি ধরের সাথে খুচরা দামের পার্থক্য প্রায় ১০০ টাকা। চট্টগ্রামের ফলের অন্যতম পাইকারি বাজার ফলমন্ডিতে এক কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৩৬৫ টাকায়, অন্যদিকে সে মাল্টা খুচরা বাজারে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা করে।
ব্যবসায়ীরা গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কমার কথা বললেও ৪৫০ টাকার উপরে মাল্টার দাম হলে তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে বলেই মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন বিক্রি থাকলেও দাম বেশি থাকায় আগের মতো মানুষ ১ কেজি বা ২ কেজি করে এখন আর ফল কিনেন না।
এগুলো ছাড়াও অন্যান্য ফল যেমন আপেল, লাল আঙ্গুরের চাহিদা থাকলেও সেগুলোর দামও ৪০০ টাকার উপরে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন বাইরে থেকে বেশি দামে আনতে হচ্ছে বলে এখন ফলের ইম্পোর্ট কম।
যদিও ইমপোর্ট কম হওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন।
এসময়ে ফলের দাম নিয়ে যেনো কেউ অতিরিক্ত লাভ করতে না পারে এবং কোন সিন্ডিকেট যেনো এখানে গড়ে উঠতে না পারে তা নিয়ন্ত্রনে সরকারি তদারকি সংস্থাগুলোর আরো তৎপর হওয়া উচিত মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
বিস্তারিত সিপ্লাস টিভিতে………………………
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন