রোকেয়া পদক পেলেন নারী ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা

ক্রীড়া ডেস্ক: নারী জাগরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পাহাড়ের গর্ব নারী ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা পেয়েছেন ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৫’। নারীশিক্ষা, নারী অধিকার, মানবাধিকার ও নারী জাগরণে অবদান রাখা চার বিশিষ্ট নারীকে এ বছর এ সম্মাননা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রোকেয়া দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার নারীর হাতে পদক তুলে দেন। আয়োজন করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

এবার রোকেয়া পদকপ্রাপ্তরা হলেন— নারীশিক্ষায় (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকারে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকারে নাবিলা ইদ্রিস এবং নারী জাগরণে (ক্রীড়া): ঋতুপর্ণা চাকমা।

রাঙামাটির জেলার কাউখালী উপজেলার ফুটবলার ঋতুপর্ণা জাতীয় নারী ফুটবলে নিয়মিত মুখ এবং পাহাড়ি নারীদের ক্রীড়ায় অনুপ্রেরণা হিসেবে পরিচিত। তার অর্জনকে স্বাগত জানিয়েছে চট্টগ্রাম ও পার্বত্যাঞ্চলের ক্রীড়ামহল।

এর আগে জাতীয় পুরস্কার– সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ চারজনের নাম সুপারিশ করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠায়।

রোকেয়া দিবস উপলক্ষে বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন নারী জাগরণের পথিকৃৎ। নারীর শিক্ষা, ক্ষমতায়ন এবং সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা অপরিসীম।

১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে এক জমিদার পরিবারে রোকেয়ার জন্ম হয়। রোকেয়া খাতুন, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, মিসেস আর এস হোসেন নামেও লিখতেন এবং পরিচিত ছিলেন তিনি। ঊনবিংশ শতকে নারীরা যখন অবরোধবাসিনী, সেই সময়ে নারীর পরাধীনতার বিরুদ্ধে তিনি আওয়াজ তুলেছিলেন।

রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী-পুরুষ সমান মর্যাদা আর অধিকার নিয়ে বাঁচবে। সেই স্বপ্নের কথাই তিনি লিখে গেছেন তার গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধগুলোতে। নারীশিক্ষার প্রসারে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, তাদের ক্ষমতায়ন, ভোটাধিকারের জন্য লড়াইটা এই বাংলায় রোকেয়াই শুরু করেছিলেন।

আজ ৯ ডিসেম্বর তার জন্মদিন। ১৯৩২ সালের এই দিনেই মারা যান তিনি। দিনটি রোকেয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top