চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। যতদিন আলেম-ওলামারা রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ত হবে না ততদিন দেশে শান্তি-সুখ আসতে পারে না।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দি সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে আলেমদের তৎপর হতে হবে। জনগণের সাথে ওলামা-মাশায়েখদের সম্পর্ক থাকতে হবে। তাদের দেখভাল করতে হবে, খোঁজখবর নিতে হবে। তিনি বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তনে ওলামাদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান।
আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, আমাদের প্রত্যেকেরই দোষ আছে। আমরা নিজের দোষ নিজে দেখি না, পরের দোষ খুঁজে বেড়াই। আমি যদি কাউকে সম্মান করি তাহলে আমিও তার কাছ থেকে সম্মান পাব। আর আমি যদি কাউকে বেইজ্জতি করি, তাহলে আল্লাহ আমাকে বেইজ্জত করে দেবেন।
ড. খালিদ বলেন, জীবন সংক্ষিপ্ত। মানুষ বেশিদিন বাঁচে না। দেখতে দেখতে সময় শেষ। ক্ষমতা, টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, কোনো কিছু স্থায়ী নয়। এদেশে একসময় যাদের অর্ডারে মানুষের ফাঁসি হয়েছে, আজ অন্যদের অর্ডারে তাদের ফাঁসি হতে যাচ্ছে। এ কারণে সবসময় আল্লাহকে স্মরণে রাখতে হবে, তাকে নারাজ করা যাবে না।
উস্তাদের খেদমতের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, উলামায়ে কেরামদের সংস্পর্শের বরকতে জীবন আলোকিত হয়। উত্তম চারিত্রিক গুণাবলি অর্জন করা যায়।
মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি খলীল আহমদ কাসেমীর সভাপতিত্বে এ সময় আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী, জামিয়ার শিক্ষাসচিব আল্লামা মুফতি কিফায়াতুল্লাহসহ বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।
দুদিনব্যাপী এ বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে গত ১৪৪৫-৪৬ হিজরি শিক্ষাবর্ষে দাওরায়ে হাদিস উত্তীর্ণ প্রায় তিন হাজার আলেমকে সম্মানসূচক পাগড়ি পরানো হয়।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ






