সিপ্লাস ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে শিল্পের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে জিনিসপত্রের দামও মাত্রাতিরিক্তভাবে বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়।
লাইটক্যাসল পার্টনার্সের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলা হয়। প্রতিষ্ঠানটি ‘দ্য লাইটক্যাসল বিজনেস কনফিডেন্স ইনডেক্স ২০২২-২০২৩ (বিসিআই)’ শিরোনামে প্রতিবেদনটির পঞ্চম সংস্করণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এভাবে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ জীবনযাপনের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে, এর মধ্যে আশাব্যঞ্জক খবর হচ্ছে, এই সময়ে পোশাক শিল্পে রপ্তানি আয় আগের চেয়ে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বহুজাতিক কোম্পানির (বিজনেস কনফিডেন্স ইনডেক্স—বিসিআই, যা +৬.৩১) তুলনায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ((বিসিআই, যা +১৪.৯১) তুলনামূলক ভালো করেছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, যুদ্ধে বিশ্ববাজারে বৃহত্তর সংস্থাগুলোর ব্যবসায়িক কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা বিরাজ করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৫০ শতাংশ, ২০২৩ সালের মার্চে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.০৯ শতাংশ। একই সময়ে (২০২২ সালের অক্টোবর) মুদ্রাস্ফীতি ৮.৯১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯.৩৩ শতাংশে (২০২৩ সালে মার্চে) উপনীত হয়।
প্রতিবেদনে খানা আয়-ব্যয় জরিপ ২০২২ এর সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়, প্রতি পরিবারে ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২২ সালে খাবারের খরচ বৃদ্ধি ও পরিবারের খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তবে, আশার কথা এই যে, ২০২১-২২ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, টেক্সটাইল, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি আয় কমলেও এই সময়ে পোশাক খাতে রপ্তানি আয় তুলনামূলক বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি আয় ছিল ৪২.৬১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৪৬.৯৯ বিলিয়ন ডলার।