নিজস্ব প্রতিবেদক: রায়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মানুষের আইনের শাসনের প্রতি যে অনাস্থা তৈরি হয়েছিল তা ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত দ্বারা ঘোষিত বিএনপির মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে এই রায় ঘোষণা হয়।
পরে এজলাসের বাইরে এসে ডা. শাহাদাত আদালতের রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি বলেন, অবিলম্বে আদালতের রায় কার্যকর করার জন্য নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। রায়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ২০ লাখ ভোটার যারা বার বার প্রতারিত হয়েছিল তারাও খুশি হয়েছে।
ডা. শাহাদাত আরো বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী দুঃশাসনে রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্রকে আওয়ামী যন্ত্রে রূপান্তরিত করে দেশে তারা ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ২০২১ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে তারা ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জালিয়াতি করে ইভিএম রেজাল্ট পাল্টে দিয়ে জালিয়াতি করে অবৈধভাবে রেজাউল করিমকে মেয়র ঘোষণা করেছিল।
তিনি বলেন, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে ২০২১ সালের মার্চ মাসে যে মামলা করা হয়েছে, সে মামলার কারণে আমাকে পাঁচ থেকে ছয় মাস জেল খাটতে হয়েছিল। সে মামলার আজ সাড়ে তিন বছর পর রায় হয়েছে। আমরা মনে করি, এ রায় বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের সময়ে পেয়েছি- বিচার বিভাগ যে স্বাধীন, আইনের শাসন যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- এ রায়ের মাধ্যমে সেটা প্রতীয়মান হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে প্রাক্তন মেয়র রেজাউল করিমকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশন সচিবকে বলেছেন, ১০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বহাল করে ডিক্লেয়ারেশন দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি আরেকটি ডিক্লেয়ারেশন দিয়েছেন, আমি যে বৈধ মেয়র- আমাকে জালিয়াতি করে হারানো হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে ডা. শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন আদালত।নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এই রায় দেন।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ঘোষিত ফলাফল এবং মেয়র হিসেবে রেজাউল করিম চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করে পুনর্নির্বাচন চেয়ে আদালতে মামলাটি করেছিলেন পরাজিত প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
চাটগাঁ নিউজ/ উজ্জ্বল/জেএইচ