সিপ্লাস ডেস্ক: ফিলিস্তিনের মিশর সংলগ্ন রাফাহ সীমান্তের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। গাজার উদ্দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে ত্রাণ সহায়তা বহনকারী ট্রাক। শনিবার সকালে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের দিকে যেতে দেখা গেছে কিছু ট্রাক। ট্রাকগুলো মিশর অংশের দিক থেকে গেটের দিকে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। খবর-বিবিসি
হামাস-ইসরায়েল সংঘাতে হাজার বাস্তুহারা লোকজনকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ট্রাকগুলো সারিবদ্ধভাবে রাফাহ সীমান্তের মিশর অংশে প্রস্তুত ছিল। তবে কতটি ট্রাক গাজায় যাচ্ছে তা এখনও জানা যায়নি। ইসরায়েল মিশর থেকে রাফাহ সীমান্তের দক্ষিণ গেট দিয়ে গাজায় খাদ্য, পানি ওষুধ বহনকারী সর্বোচ্চ ২০টি ট্রাক প্রবেশে রাজি হয়েছে। তবে এসব ট্রাকে কোনো জ্বালানি নেই।
যদিও রেড ক্রিসেন্টের মানবিক সহায়তা কর্মীরা বারবার বলে আসছেন, এই ২০টি ট্রাকের ত্রাণ সহায়তা চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য যাকে ‘সমুদ্রে এক ফোটা পানির সমতুল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তারা।
জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, গাজা ও মিশরের মধ্যে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় খুলবে এমন তথ্য তারা পেয়েছে।
মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র গাজায় সাহায্যের অনুমতি দিতে সম্মত হওয়ার পর এই সীমান্ত আজ খুললো। ৭ অক্টোবর হামাসের রকেট হামলার পর ইসরায়েল বিমান হামলা শুরু করে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা অবরোধ করায় হামাস-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অন্যান্য প্রবেশপথগুলো বন্ধ রয়েছে। হামাসের হামলার জবাবে গাজায় বিমান হামলা শুরু করার আগে পানি, খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল।
সংঘাতের পর ইসরায়েল সফরে যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন,পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তারা এই অঞ্চলের আরব দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর মানবিক সহায়তা সরবারহ ও বিদেশি পাসপোর্টধারীদের সরিয়ে নিতে সীমান্তটি পুনরায় খুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল হামলার আশঙ্কায় বাস্তুহারাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সতর্কতার পর গাজা থেকে বহু মানুষ দক্ষিণ অংশে মিশরের সীমান্তের রাফাহ ক্রসিংয়ের দিকে চলে গেছেন। সীমান্তটি খুলে দেওয়ার ব্যাপারে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালুর আলোচনা চলছিল কয়েকদিন ধরে।
ব্লিঙ্কেন ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলি দুজনই বলেন, তারা রাফাহ সীমান্ত আবার চালু করতে ইসরায়েল, মিশর ও অন্যান্য নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন