চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের বহু রুপের মধ্যে একটা বিশেষ রুপ আমাকে বেশ সন্দিহান করে।
তা হলো, এই রাজনীতিবিদেরা যখন ক্ষমতা বা ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে যায়, তখন তারা সাধারণ নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার সহ বিভিন্ন নাগরিক অধিকারের কথা প্রায়শই বেমালুম ভুলে যায়।
কিন্তু একই সময়ে এদের মধ্যে যারা আবার আইন পেশায় নিয়োজিত, তারা ঠিকই আজীবন বিরোধীতা করে এসেছে, সম্পর্ক একেবারে দা-কুড়ালে এমন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের রাইট টু এটর্নি বা আইনি সহায়তার অধিকারের বিষয়ে এতটাই বিচলিত হয়ে পড়ে যে তাদের রক্ষায় রীতিমত নিজেরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
মজার বিষয়টা দেখেন, এরাই একপক্ষ আরেকপক্ষ’কে দুই চোখে দেখতে পারেনা, সহ্যই করতে পারেনা, এমন একটা অবস্থা! কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন বিপদে, তখন আইনের মারপ্যাঁচ থেকে বাঁচাতে নিজেই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়! এই একটা অধিকারকে বিষয়ে এরা অত্যন্ত সোচ্চার।
রাজনৈতিক দলগুলোর আসলে একটা নিয়ম করা উচিত, যদি আইন পেশা প্র্যাকটিস করতেই হয়, তাহলে নিজ দলের লোকজন আর সাধারণ নাগরিকদের জন্যে করেন। এমন কারো উকালতি করতে আদালতে যাবেন না, যার/যাদের বিরুদ্ধে আপনি এবং আপনার দল এবং সাধারণ জনগণ বছরের পর বছর সংগ্রাম করেছে, যারা আপনারই ভাই-বোনদের অত্যাচারের চূড়ান্ত করেছে।
আর যদি যেতেই হয় তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করবেন, আপনি আসলে কার প্রতি অনুগত-বিশ্বস্ত; আপনার রাজনৈতিক দলের প্রতি, সাধারণ নাগরিকদের প্রতি নাকি আপনার ক্লায়েন্ট রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি। কারণ এসবই আপনি একসাথে হতে পারবেন না, অবশ্য ধাপ্পাবাজ/নীতিবিবর্জিত হলে সেটা ভিন্ন আলাপ।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ