মহেশখালী প্রতিনিধি : রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় এসি বিস্ফোরণে সর্বেশষ আহত রুক্সি আক্তারও মারা গেছেন। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়ালো ৪ জনে।
আজ রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার শরীরের ৫৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
মৃত রুক্সি আক্তারের গ্রামের বাড়ি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নে। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফুতু আক্তার ও তার বাবা আব্দুল মান্নানের মৃত্যু হয়েছে।
আগের দিন বুধবার দগ্ধ তিন বছর বয়সী শিশু আয়ান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, বিষয়টি ভাটারা থানাকে অবগত করা হয়েছে।
রুক্সি আক্তারের দেবর আহমেদ মোস্তফা জানান, তার ভাবি রুক্সির ব্রেইন টিউমার হয়েছিল। এভারকেয়ার হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। ১ জুন সপরিবারে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। হাসপাতালসংলগ্ন ভবনের নিচতলায় একটি বাসায় ভাড়ায় উঠেন। সেখান থেকে নিয়মিত এভারকেয়ার হাসপাতালে যাতায়াত করতেন। গত ১০ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রথমে তাদের এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওইদিন রাতেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, কক্সবাজার মহেশখালী থেকে তারা ঢাকায় যান চিকিৎসার জন্য। এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ৬ জুন অপারেশন হয় রুক্সির। এখানে থাকার জন্য হাসপাতালের পাশে এ ব্লকে একটি বাসার নিচতলায় একটি রুম ভাড়া নেন। সেখানে থাকতেন তারা, প্রয়োজনে পাশে হাসপাতালে যেতেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় বিদুৎ চলে যায়। রুমে এসি চালানো ছিল। পরে আবার বিদুৎ চলে আসে, এসময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস