রাঙ্গুনিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে গেল ৫টি বসতঘর

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: রাঙ্গুনিয়ায় আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচটি কাঁচা বসতঘর পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম বেতাগী মাইজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস রাঙ্গুনিয়া স্টেশনের সাব-অফিসার মো. জসিম উদ্দিন জানান, আগুনে সংযুক্ত রান্নাঘরসহ একাধিক কক্ষবিশিষ্ট পাঁচটি কাঁচা বসতঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মো. আবু তাহের, আবু মোহাম্মদ, মো. ইব্রাহিম, মো. ইসমাঈল ও মো. ইসরাঈল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে।

এদিকে গত এক সপ্তাহে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কখনো বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, কখনো গ্যাসের চুলা, আবার কখনো অজানা কারণে এসব অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হচ্ছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের খুরশেদ তালুক এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে দুটি দোকান ও একটি বসতঘর পুড়ে যায়। এর আগের দিন, ২৯ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পালপাড়ায় ডাক্তার রতন পালের বসতবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর পোমরা ইউনিয়নের কাদেরিয়াপাড়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে ছয়টি বসতঘর পুড়ে যায়। ওই ঘটনায় একটি ঘরে দগ্ধ হয়ে দাদি ও নাতনির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এছাড়া ২২ ডিসেম্বর রাতে বেতাগী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে স্থানীয় বাসিন্দা সিএনজি অটোরিকশা চালক মাহবুবুল আলমের বসতঘর পুড়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিস রাঙ্গুনিয়া স্টেশনের টিম লিডার জাহেদুর রহমান বলেন, শীতকালে সব ধরনের দাহ্যবস্তু শুষ্ক হয়ে যায় এবং বাতাসে জলীয় কণার পরিমাণ কম থাকে। ফলে এ সময় আগুন সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা ও কুয়াশা আগুন প্রতিরোধে তেমন ভূমিকা রাখে না। শীতের সময় চুলা জ্বালিয়ে রাখা, মশার কয়েল ব্যবহার, লাকড়ি জ্বালিয়ে আগুন পোহানো, ধূমপানসহ নানা কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাস সবাই সতর্ক ও সচেতন থাকলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

চাটগাঁ নিউজ/জগলুল/এমকেএন

Scroll to Top