রাঙ্গুনিয়ায় তীব্র ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, উপড়ে পড়েছে গাছ

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: রাঙ্গুনিয়ায় তীব্র ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। টানা ভারী বৃষ্টি ও ধমকা বাতাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এছাড়া ধসে পড়েছে ৫টি বসতঘর এবং বিভিন্ন স্থানে সড়ক ধসের খবর পাওয়া গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে একাধিক জনগুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম এবং তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকা। এছাড়া পাহাড় ধসের ঝুঁকিও সৃষ্টি হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায়।

জানা যায়, উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের চন্দ্রঘোনা-নিশ্চিন্তাপুর সেগুনবাগিচা সড়কের হাজী টিলা সংলগ্ন খামার বাড়ি হিজ্জেরতল এলাকায় বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে কয়েকটি গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সড়কের দু’পাশে অনেক যানবাহন আটকে যায়। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় সড়ক থেকে গাছ সড়িয়ে নিলে এক ঘন্টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পদুয়া এলাকার দত্ত বাবু বলেন, কাল বৈশাখী ঝড়ে পদুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম খুরুশিয়ার চিপছড়ি পাড়া, পেকুয়া পাড়া এলাকায় পাঁচটি বাড়ি ধসে পড়েছে।। এছাড়াও পদুয়ার বিভিন্ন দূর্গম এলাকায় বিভিন্ন স্থানে একাধিক গাছ পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কোদালা ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মিনু আরা বেগম জানান, তীব্র বৃষ্টিতে সদ্য নির্মিত কোদালা-শিলক সংযোগ সেতুর এপ্রোচ সড়কের একপাশে ধসে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কার করা হলেও পরক্ষণে তা আবার ধসে গেছে।

উপজেলার শিলক স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত আলী বলেন, হাজী সৈয়দ আলী সড়কের শিলক ইউনিয়নের ব্যুচক্র হাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সড়কের পাশ ঘেঁষে ভেঙে গেছে তীর। সড়কের নিচ থেকে সরে যাচ্ছে মাটি। এর উপর দিয়ে চলছে যানবাহন। যেকোনো সময় সড়ক ধসে পড়ে দুর্ঘটনাসহ শিলক-কোদালার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এটি জরুরী সংস্কারের আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান জানান, তিনি ভারী বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তেমন বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু পরিবারের ব্যাপারে খোজখবর নিয়ে তাদের সহায়তার উদ্যোগ নেয়া হবে।

চাটগাঁ নিউজ/জগলুল/এমকেএন

Scroll to Top