রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম নুর আয়েশা বেগম (২৬)। তিনি উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আলমশাহপাড়া এলাকার প্রবাসী আবুল কালামের স্ত্রী। তার পৈতৃক বাড়ি একই উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের আলমশাহপাড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গৃহবধুর স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে— ৯ বছর আগে লালানগর ইউনিয়নের প্রবাসী আবুল কালামের সাথে একই উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নুর আয়শা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের কোনো সন্তান হয়নি। বিয়ের কয়েকমাস পর স্বামী প্রবাসে চলে যাওয়ার পর স্ত্রী নুর আয়শা পৈতৃক বাড়িতে চলে যান। কয়েক বছর পর স্বামী দেশে আসলে স্ত্রী নুর আয়শা বেগমও শশুর বাড়িতে চলে আসেন। স্বামী দেশে আসলে প্রত্যেকবার স্ত্রী পৈতৃক বাড়ি থেকে শশুর বাড়িতে আসেন। স্বামী বিদেশে চলে গেলে স্ত্রীও পৈতৃক বাড়িতে চলে যান। বর্তমানে স্বামী বিদেশে আছেন।
গত শুক্রবার আয়শা ভাসুরের নতুন ঘর নির্মাণ উপলক্ষে পারিবারিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে শশুর বাড়িতে আসেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে খাবার খেয়ে একা ঘুমান আয়শা। পরদিন মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে না ওঠলে শশুরবাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করেন। তাতেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ননদ জান্নাতুল ফেরদৌস ভিতর থেকে বন্ধ করা ঘরের দরজা বাইরে থেকে কৌশলে খুলে ফেলেন।
ভিতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় আয়শার নিথরদেহ ঝুলছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া থানায় গিয়ে দেখা যায়, অ্যাম্বুলেন্সে নুর আয়শা বেগমের লাশ রাখা আছে। পাশে বিষন্ন অবস্থায় প্রবাসী ভাই মো. কালাম দাঁড়ানো। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘লাশের অবস্থা দেখে এটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছেনা। তাকে হত্যা করা হয়েছে। প্রয়োজনে হত্যা মামলা করবো।
থানায় এসেছেন নুর আয়শার মামা ইসমাইল । তিনি বলেন, মেয়ে তো শশুর বাড়িতে থাকেনা। কারো সাথে ঝগড়া বা বিরোধ হওয়ার কোনা চান্স নেই। স্বামী দেশে আসলে আয়শা আসেন। বুঝতে পারছিনা এটি কি হলো।
এই ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
চাটগাঁ নিউজ/জগলুল/জেএইচ
