রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের হাজার হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় এসেছে একটি রাবার ড্যামে ৷ এবার সেই রাবার ড্যামের কাছে এবং নদী ভাঙন রোধে দেয়া ব্লকের গোড়া থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি। এতে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারি এসব প্রকল্প ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকালে দক্ষিণ শিলক তৈয়্যবিয়া নূরীয়া ছত্তারিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচী করেন। অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধসহ জড়িতদের শাস্তির দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন বলে জানান তারা।
কালিন্দিরানী সড়কের শিলক তৈয়্যবিয়া নূরীয়া ছত্তারিয়া মাদ্রাসার সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সুপার আবদুল হালিম। বক্তব্য দেন স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে কাজী মোরশেদ আহমদ, সৈয়দা বেগম, ফরিদা বেগম, মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, শিক্ষক মো. জাবের, জাহিদ হাসান, মাওলানা মুহাম্মদ সোলাইমান, কামরুন নাহার সুমি, আয়শা আক্তার, মারজানুল মাওয়া, শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রবিউল, শামিম ওসমান সাইফু প্রমূখ।
তারা জানান, পদুয়া ও শিলক ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মরমেরমুখ এলাকায় ২০০৫ সালে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি রবার ড্যাম নিমার্ণ করা হয়েছে। যার পানি দিয়ে হাজার হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ হয়। এছাড়া জনগুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার মূল কালিন্দীরানী সড়ক, রাবার ড্যাম ও মানুষের ঘরবাড়িসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নদীপাড়ে ব্লক স্থাপন করা হয়েছে।
কিন্তু কয়েকমাস ধরে রাবার ড্যামের কাছে ব্লকের পাশ ঘেঁষে একাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। এতে এসব ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে।
এছাড়া একটি দাখিল মাদ্রাসা, দুইটি জামে মসজিদ, একটি ঐতিহ্যবাহী মাজার, দুইটি এতিমখানা ও হেফজখানাসহ শত শত মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলিজমি হুমকির মুখে পড়েছে। এই ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দিলেও বন্ধ হচ্ছে না বালি উত্তোলন। এমনকি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বালি উত্তোলন বন্ধ হলেও উনারা চলে যাওয়ার পর আবারও বালি উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাটগাঁ নিউজ/জগলুল/এমকেএন