রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটি পৌর মাঠে প্রশাসন কর্তৃক ফুলের বাগানের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শহরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর সকালে রাঙামাটি পৌরসভার সামনে মাঠ উন্মুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাঙামাটি পৌরসভায় প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিগত স্বৈরাচারী সরকারেরই এক কর্মকর্তা। বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করতে এই কর্মকর্তা পৌর প্রশাসনের চেয়ারে বসে পৌর নাগরিকদের মতামত উপেক্ষা করে সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তোলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। পৌর এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পৌরমাঠে প্রতিদিন কয়েকশো শিশুকিশোর খেলাধূলা করে এবং সারা বছরই বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মেলাসহ নানান কর্মসূচী পালন করা হয়। কিন্তু বর্তমানে পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ মর্যাদার জনৈক নারী কর্মকর্তা নিজ ইচ্ছায় ফুল বাগান সৃজনের নামে পুরো মাঠটিকে ক্ষত-বিক্ষত করে বাগান সৃষ্টির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি স্থানীয় নাগরিক সমাজ। তারা পৌর কর্তৃপক্ষকে মাঠটি নষ্ট না করার অনুরোধ জানালেও নাগরিকদের আপত্তিতে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেনি সংশ্লিষ্টরা।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম শাকিল, জেলা দুর্নীতি দমন কমিটির সভাপতি মোঃ ওমর ফারুক, সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য মোঃ কামাল হোসেন, জাসাস সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী কামাল উদ্দিন, ছাত্রনেতা শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মানব বন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা নারী কর্মকর্তার স্বামীও রাঙামাটিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বিগত স্বৈরাচারী সরকারের একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা। যার ফলে তিনি পতিত সরকারের পর রাঙামাটিতে বিতর্কিত কর্মকান্ড করে পার্বত্য উপদেষ্ঠাকেও বির্তকিত করেছিলেন। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছিলো জেলা প্রশাসন। এক পর্যায়ে তাকে রাঙামাটি থেকে বদলী করে নিয়ে যাওয়া হয়। সে একই ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রী। মূলতঃ স্বামী-স্ত্রী এই দুই কর্মকর্তা পতিত সরকারের ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি করে বিসিএস কর্মকর্তা হয়েছিলেন।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করতে তারা জনমতকে অগ্রাহ্য করে জনসাধারণের স্বার্থ বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। এই পৌর মাঠ আমাদের প্রাণের মাঠ। পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডে কোন মাঠ নেই। তাই এই পৌর মাঠে এলাকার ছোট ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা করে থাকে। ফুলের বাগান করার নামে এই মাঠ দখল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যদি এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ বন্ধ করা না হয় তা হলে বিক্ষোভ মিছিলসহ বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন বক্তারা।
চাটগাঁ নিউজ/আলমগীর/ইউডি