রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটির দূর্গম পাহাড়ি সীমান্ত দিয়ে বিদেশি ব্রান্ডের সিগারেট বাংলাদেশে পাচারের সময় দুই কোটি টাকার সিগারেটসহ জুয়েল নামে একজন আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ শাখা।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাঙামাটিতে ডিবি পুলিশের অভিযানে আবারো ধরা পড়লো প্রায় দুই কোটি টাকার শুল্কবিহীন অবৈধ সিগারেট।
শুক্রবার ভোরে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে আনা এই সকল সিগারেট অভিনব কায়দায় চট্টগ্রামে পাচারের সময় এসব সিগারেট আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি জেলা ডিবি পুলিশের ওসি দৌস মোহাম্মদ।
ডিবির ওসি দৌস মোহাম্মদ জানান , গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা আগে থেকেই ভেদভেদীতে অবস্থান নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে গোপন তথ্যানুসারে গ্যাসের সিলিন্ডার ভর্তি ট্রাক থামিয়ে তল্লাশী চালালে আমরা ১৬০ কার্টুন অবৈধ সিগারেটসহ (যাহার বাজার মূল্য এক কোটি ৯২ লাখ টাকা) জুয়েল নামের এক ব্যক্তিকে হাতে নাতে আটক করেছি।
এ বিষয়ে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে জানিয়ে ডিবির ওসি বলেন, অবৈধ চোরাচালানকারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এর আগে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের পোড়া স’মিল এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে অভিযান চালিয়ে যাত্রীবাহী স্পিডবোট থেকে ১৯ লাখ টাকার সিগারেটসহ একজনকে আটক করেছিলো ডিবি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার আটককৃত সিগারেটগুলো মূলত কাপ্তাই দিয়ে কাভার্ড ভ্যানে করে চট্টগ্রাম পাচার করা কথা ছিলো। কিন্তু কাপ্তাই থানা পুলিশের তৎপরতায় বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে প্রায় ৩’শ কার্টুন সিগারেট আসাম বস্তি সড়ক দিয়ে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এনে রাখা হয়। পরবর্তীতে এসকল সিগারেট দুই ট্রাকে করে অভিনব কায়দায় জ্বালানি গ্যাসের সিলিন্ডার চারদিকে সাজিয়ে মাঝখানে সিগারেটের বস্তা রেখে নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা চালায় চোরাচালান সিন্ডিকেট চক্র।
একটি রাজনৈতিক দলের নেতার মাধ্যমে সিগারেটগুলো ভোররাতে রাঙামাটির ভেদভেদী হয়ে মানিকছড়ি দিয়ে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় বেরসিক ডিবি পুলিশ হাতে নাতে একটি ট্রাক ভর্তি সিগারেটগুলোসহ জুয়েলকে আটক করে। এসময় অন্য আরেকটি সিগারেট ভর্তি ট্রাক শহরের স্বর্ণটিলা এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যায় সিন্ডিকেট চক্র।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তি বাশঁঝাড়ের নিচে এবং আশেপাশের কয়েকটি বাড়িতে সিগারেট ভর্তি বস্তাগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাঙামাটি শহরে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে জেলা পুলিশ।
চাটগাঁ নিউজ/আলমগীর/ইউডি