রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী আটক

রাঙামাটি প্রতিনিধি: চলমান পর্যটন মৌসুমে পার্বত্য রাঙামাটিতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ার সাথে সাথে আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতাও ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাহাড়ী পর্যটন স্পটগুলো দর্শনে আগত পর্যটকদের হয়রানীর মিশনে নেমেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সন্ত্রাসীরা।

প্রতিনিয়তই পর্যটকদের নানাভাবে হয়রানী করার পাশাপাশি মারধর করে মোবাইল ফোনসহ গুরুত্বপূর্ন জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি যুবকরা।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটায় টিবিমনপাড়া এলাকায় রাঙামাটি শহরের অদূরে বহুল পরিচিত ফুরমুন পাহাড় দর্শনে গেলে ১৬ জন পর্যটকের কাছ থেকে তাদের মোবাইল ফোন ও সাথে থাকা মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় আটক করা হয় মন্টু (৪০) চাকমা নামের এক ইউপিডিএফ সদস্যকে।

ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল হয়ে পড়ে এ ১৬ জন পর্যটক। পরবর্তীতে বিষয়টি রাঙামাটি সদর সেনাজোনে বিয়ষটি জানায় ভূক্তভোগিরা। এরপর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে রাঙামাটি সদর সেনা জোন কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়, উক্ত ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরাই ঘটিয়েছে।

নিরাপত্তাবাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন কতিপয় ব্যক্তিকে আটক করতে সমর্থ হই।

পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পর্যটকগণ উক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিবর্গ হতে মন্টু চাকমা, পিতা: পাইঅংশী চাকমা নামে একজন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। মন্টু চাকমা পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সক্রিয় সন্ত্রাসী বলে নিশ্চিত হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।

আটককৃত মন্টু চাকমাকে কাউখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে কাউখালী থানা কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি রাঙামাটির ফুরোমুন পাহাড়ে পর্যটকরা না যাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজাতীয়দের বেশ কয়েকটি আইডি থেকে ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। ফুরোমুনকে পর্যটন স্পট না বানানোর দাবিও জানানো হয়। এই ঘটনার পরপরই রোববার ফুরোমুন পাহাড় দর্শনে গেলে ১৬ জন পর্যটকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় একদল পাহাড়ি যুবক।

 

চাটগাঁ নিউজ/এমএসআই

Scroll to Top