চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের রাউজানে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) নগরীর ২ নম্বর গেট চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু এই তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অবৈধ অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে রাউজান থানাধীন নোয়াপাড়া, বাগোয়ান, পূর্ব ও পশ্চিম গুজরা, সুলতানপুর, কদলপুর, রাউজান ইউপি ও পৌরসভা এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। একই সময়ে ১৭টি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হয়।
অভিযানে ৮টি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ১৪টি ছোরা, ৩টি রামদা, ২টি চাপাতি, ২টি তলোয়ার, ১টি কিরিচ ও ১টি ইলেক্ট্রিক কাটার। চেকপোস্টে ২৮টি মোটরসাইকেল ও ১টি ট্রাক আটক করা হয় এবং মোটরযান আইনে ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-৭ এর অভিযানে উদ্ধার করা হয় ৩টি এলজি, ২টি তলোয়ার ও ১টি কিরিচ।
তিনি আরও বলেন, রাউজানের আলোচিত ব্যবসায়ী হাকিম হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এই মামলায় উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৪টি বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভলভার, ১টি চায়না রাইফেল, ১টি শর্টগান, ২টি এলজি, ৮৫ রাউন্ড গুলি, ৭টি ম্যাগাজিন, ২টি রামদা, ৫টি ছুরি ও একটি মোটরসাইকেল।
পুলিশ সুপার আরও জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ৫৭৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪৬২টি গুলি ও ২০৬ রাউন্ড কার্তুজ। অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে ৯৬টি এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪০ জন। এছাড়াও চলতি নভেম্বর মাসে রাউজান থানা এলাকায় অস্ত্র আইনে দায়ের হয়েছে ১০টি মামলা। গ্রেপ্তার হয়েছে ৮ জন এবং উদ্ধার করা হয়েছে ২৪টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৮৫ রাউন্ড গুলি ও ৩২টি কার্তুজ।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন






