রাউজানে যুবদলকর্মী হত্যা মামলায় সাবেক ছাত্রদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ২

রাউজান প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদলকর্মী মো. আলমগীর আলম (৪৬) হত্যাকাণ্ডের দায়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাউজান থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের হরিষখান পাড়ার মৃত নুরুল আমিনের ছেলে মো. রাসেল খান (৪২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমত পাড়ার চুনা করিমের ছেলে মো. হৃদয় (৩৫)।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া দুইজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত সোমবার রাতে নিহতের পিতা আব্দুর ছত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত রাসেল খান ও মো. হৃদয় দুইজনই এই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় যথাক্রমে ৭ ও ২১ নম্বর আসামি। তাদেরকে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে গত সোমবার মধ্যরাতে পুলিশ কর্তৃক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল খানের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কে নেমে আসেন উপজেলা যুবদল, সেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেখানে তারা আটকের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

আজকেও রাসেল খানকে মুক্তির দাবিতে সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের মু্‌ন্সির ঘাটা হতে উপজেলা যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সাবের সুলতান কাজলের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা ও থানা সড়ক প্রদক্ষিণ করে জলিল নগরে এসে প্রতিবাদ সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর (শনিবার) বিকেলে নিহত মো. আলমগীর আলম রশিদাপাড়া বোনের বাড়ি হতে দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কায়কোবাদ আহমেদ জামে মসজিদের সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে ওৎপেতে থাকা দূর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে তার মোটরসাইকেলসহ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রাউজান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি একই এলাকার চৌধুরী বাড়ির আব্দুস ছত্তারের ছেলে। জানা যায়, তিনি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী। তার কোন দলীয় পদ-পদবী না থাকলেও গোলাম আকবর খন্দকার তাকে যুবদল নেতা উল্লেখ করে তার হত্যার নিন্দা ও বিচারের দাবি জানান।

থানা পুলিশ সূত্র জানা যায়, নিহত মো. আলমগীর আলমের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ নানান অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।

চাটগাঁ নিউজ/জয়নাল/এমকেএন/জেএইচ

Scroll to Top