রাউজান প্রতিনিধি: রাউজানের কদলপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে এক কৃষকের ধার-দেনা করে কেনা ১ টি গরু ও ২টি মহিষ ভোর বেলায় পিক-আপে করে নিয়ে চোরের দল।
গত শনিবার ও রবিবার উপজেলার কদলপুর ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরছড়ি হাট সংলগ্ন ফকির শাহা কাজীর নতুন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কৃষক একই বাড়ির মৃত আব্দুল কাদের ছেলে মো. নুরুল আলম (৭০)।
জানা যায়, কৃষক নুরুল আলম কৃষি কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার-কর্জ করে বিগত ৩ বছর যাবৎ কোরবানির ঈদ ও ওরশে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বেশকিছু গরু-মহিষ ক্রয় করে লালন-পালন করেন। এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রির পর ১ গরু ও ১০ টি মহিষ থেকে যায়। প্রতিদিনের ন্যায় রাতভর ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে গরু-মহিষগুলো পাহারা দিয়ে ভোরে ফজরের আজনের পূর্বে নামাজের জন্য বাড়ি ফিরেন।
এরমধ্যে গত শনিবার সকালে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন তার একমাত্র ষাড় নেই। যার আনুমানিক মূল্য ১লাখ ২০ হাজার টাকা। ঘটনাস্থলের পশ্চিমে একটি মন্দিরের সিসিটিভির ক্যামরা ধরা পড়ে ভোর ৩ টার দিকে পিক-আপ করে গরুটি নতুন হাটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তার একসপ্তাহ পরে রবিবার একই কৃষকের দুটি মহিষ চুরি হয়ে যায়। সেটিও মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ভোর ৪টার দিকে একটি পিক-আপে করে মহিষ দুটি একই পথে নিয়ে যাচ্ছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা।
বৃদ্ধ কৃষক প্রায় পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের গরু-মহিষ চুরি হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এই বিষয়ে জানতে কদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ্যানি বড়ুয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চুরির বিষয়ে তিনি শুনেছেন। তবে বিস্তারিত জেনে ফোন দিবে বলেও পরবর্তীতে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায় নি।
এই প্রসঙ্গে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, গরু-মহিষ চুরির বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। তবে, গরু চুরি ঠেকাতে আমরা নিয়মিত টহল, চেকপোস্টসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। দুঃখের বিষয়, চুরির ঘটনায় কেউ বাদী হতে চায় না।
স্থানীয়রা জানান, কদলপুরে একটি শক্তিশালী গরু চোর সিন্ডিকেট রয়েছে। অনেকবার তারা ধরা পড়েছে। তারা একেক সময় রাজনৈতিক দলের প্রশ্রয়ে থেকে গরীব কৃষক ও গৃহস্থের গরু চুরি করে নিয়ে যায়। প্রশাসনের কাছে তথ্য থাকলেও তারা অজ্ঞাত কারণে নিরব ভূমিকা পালন করেন। এই কারণে খামারীরা আতঙ্কে দিনপাত করছেন।
চাটগাঁ নিউজ/জয়নাল/এমকেএন