রাউজান প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই গ্রুপের বিদ্যমান সহিংসতার ঘটনায় এবার সরেজমিনে তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালে দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৫ টায় দলীয় ভেরিফাই পেইজে প্রকাশিত দলীয় প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই দায়িত্ব অর্পন করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, কয়েক মাস যাবৎ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র অধীন রাউজান উপজেলা বিএনপিতে অপ্রীতিকর ঘটনা, হানাহানী ও রক্তাক্ত সহিংসতার বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে একটি লিখিত প্রতিবেদন আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করছি।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের রাউজান উপজেলার প্রবেশ মুখ ছত্তারঘাটে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্থানীয় এমপি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও সদ্য সাবেক উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক স্থানীয় এমপি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটা ঘটে।
এতে উভয়পক্ষের ৩০ জনের অধিক আহত হয়। ঘটনার কয়েকঘন্টার মধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা এবং গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ স্থগিত করা হয়।
এরপর হতে উভয় নেতা এসব ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করে বিবৃতি দেন। গত ৩০ জুলাই বিকালে রাউজানের সকল প্রকারের সহিংসতা, চাঁদাবাজি, মাটি-বালির ব্যবসার জন্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দায়ী করে নগরীর উত্তর জেলা কার্যালয়ে গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
অপর দিকে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা রাউজানের উপজেলা সদরে দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। সেখানে রাউজানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক খুনের ঘটনায় গোলাম আকবর খন্দকারকে দায়ী করেন। এবং আওয়ামী লীগের দোসর ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর সহযোগী আখ্যা দিয়ে গোলাম আকবর খন্দকারকে রাউজান অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
এরমধ্যে গত ৩০ জুলাই (বুধবার) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী তার পদের স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে তার স্বপক্ষে বক্তব্য তুলে ধরে তদন্ত কমিটি ঘটনের অনুরোধ জানিয়ে দলীয় চেয়ারপারসন বরাবরে চিঠি প্রেরণ করেন। পরের দিন ৩১ জুলাই ঘটনার তদন্তের জন্য দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল দায়িত্ব দেওয়া হয়।
চাটগাঁ নিউজ/জয়নাল/এমকেএন