ক্রীড়া ডেস্ক: প্রথম ৮ ম্যাচ জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর রাইডার্স। অথচ, সেই দলটিই গ্রুপপর্বে পরের চার ম্যাচে হেরে বসে। এবার তার খেসারতও দিতে হলো নুরুল হাসান সোহানদের।
তাদেরকে তিনে ঠেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই মানে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলা নিশ্চিত করেছে চিটাগং কিংস। ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে এই কীর্তি গড়েছে চিটাগং।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে ২৪ রানের ব্যবধানে জিতেছে চিটাগং। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে চিটাগং। জবাব দিতে নেমে ১৮২ রানে থামে বরিশাল।
আগের ম্যাচের প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হয়েছিল বরিশালের। তাই আজকের ম্যাচটি তাদের জন্য ছিল স্রেফ নিয়মরক্ষার। গ্রুপপর্বের ১২ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ১৮। সমান ম্যাচে রংপুর ও চিটাগংয়ের পয়েন্ট ১৬। তবে রান রেটে এগিয়ে চিটাগং। দিনের প্রথম ম্যাচেই নিশ্চিত হয়েছে প্লে-অফে ওঠা বাকি দলটি খুলনা টাইগার্স।
আজ চিটাগংয়ের ২০৬ রানের জবাব দিতে নেমে ১৩ রানের মধ্যে তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয়কে হারায় বরিশাল। এরপর বরিশালের ব্যাটিংয়ের আশা হয়ে দাঁড়ান ডেভিড ম্যালান। দলকে টেনেও নিয়ে গিয়েছিলেন অনেকটা। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ কেউ দিতে পারেননি। ৩৪ বলে ৬৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। মাইমুল্লাহর ২৬ বলে ৪১ রানে পরাজয়ের ব্যবধানই কমেছে কেবল।
এর আগে, ২০৬ রান করার পথে চিটাগংয়ের হয়ে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি আসে ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে। ৪১ বলে ১টি চার ও ৮ ছক্কায় ৭৫ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেছেন এই তরুণ। শেষদিকে ঝড় তুলেছেন দেশের আরেক বাঁহাতি ক্রিকেটার শামীম হোসেন পাটোয়ারি। ১২ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩টি চারের পাশাপাশি হাঁকান ২টি ছক্কা।
চিটাগংয়ের হয়ে দারুণ ব্যাটিং করেছেন পাকিস্তানি তারকা হায়দার আলিও। হাতে ব্যাথা পেলেও এই ডানহাতির ব্যাটে ৪২ রান এসেছে স্রেফ ২৩ বলে। সমান ৩টি চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি। এছাড়া বিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন খাজা নাফাই ও গ্রাহাম ক্লার্ক।
বরিশালের হয়ে অন্য বোলাররা দুহাতে রান বিলালেও দুর্দান্ত ইকোনমিতে বল করেছেন পেসার ইবাদত হোসেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। ৩ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নবী। দলের বাকি বোলারদের ইকোনমি ছিল দশের ওপরে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ