চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের গুদামে লাগা আগুন ২৭ ঘণ্টা পরও নেভার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে। এ আগুন পুরোপুরি নিভতে অনেক সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকালে ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক (প্রশাসন অর্থ) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘অপরিশোধিত চিনি মজুত এক ধরনের দাহ্য পদার্থ। আগুন লাগা গুদামটিতে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত ছিল। পানি দিয়ে এ আগুন নেভাতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। তবে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেটি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।’
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. হোসেন বাংলা জানান, একই স্থানে এস আলমের ছয়টি গুদাম আছে। সোমবার ১ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। এ গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। সবই পুড়ে গেছে। যার বাজার মূল্য হাজার কোটি টাকার বেশি। গুদামটিতে এখনও আগুন জ্বলছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ছয়টি গুদামের মধ্যে চারটিতে অপরিশোধিত চিনি রাখা হয়। বাকি দুটিতে পরিশোধনের পর বিক্রি উপযোগী চিনি রাখা হয়। এক লাখ টন চিনি পুড়লেও এখনও দুটি গুদামে বিক্রি উপযোগী ২৫-৩০ হাজার মেট্রিক টন মজুত আছে। এ ছাড়াও বাকি তিনটি গুদামে বিপুল পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি মজুত আছে। আরও চিনি আমদানি পর্যায়ে আছে। সব মিলিয়ে চার লাখ মেট্রিক টনের মতো অপরিশোধিত চিনি আমাদের মজুদ আছে।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘আগুন লাগার কারণে দেশের বাজারে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। আজও বাজারে দুই জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
এদিকে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিশোধিত চিনির মজুদ অক্ষত রয়েছে জানিয়ে এস আলম শিল্প গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেছেন, দুই-এক দিনের মধ্যে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে সরবরাহ শুরু করা হবে। আগুন নেভানোই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য। চিনির সংকট হবে না।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর এলাকার সুগার মিলটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ