যুবলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল আওয়ামী লীগ নেতার

সিপ্লাস ডেস্ক: নগরের পাহাড়তলীতে ভোটের ‘টাকা ভাগাভাগি’ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে যুবলীগ কর্মী জসিমের ছুরিকাঘাতে মো. হোসেন (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন নিহতের ছেলে অমিত হোসেন (২০)। নিহত হোসেন মান্না ওই এলাকার মধ্যম সরাইপাড়া এলাকার মো. নুরু মিয়ার ছেলে। তিনি পাহাড়তলী ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। গতকাল রোববার দুপুর ২টার দিকে পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া এলাকায় এবতেদায়ি মাদ্রাসার সামনের পুকুরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। তিনি চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এলাকায় ব্যবসা করতেন।

পাহাড়তলী থানার ওসি মো. জহির উদ্দিন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে স্থানীয় একটি বায়িং হাউজের কর্মী মো. জসিম জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। জসিমকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। ঘটনার পর তিনি পুরো পরিবার নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, হোসেন ও জসিম দুজনই নগরীর সরাইপাড়ার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। রোববার দুপুরে রাস্তায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হোসেনকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় জসিম । স্থানীয় কয়েকজন হোসেনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মতে ১০ আসনের নির্বাচনের ৮ হাজার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে হাতাহাতির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সিএমপি পাহাড়তলী জোনের সহকারী কমিশনার মো. মঈনুর রহমান বলেন, মূলত পূর্বশত্রুতার জেরে জসিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি হোসেন মান্নাকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তাঁকে বাঁচাতে ছেলে এগিয়ে আসলে তাঁকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয়রা তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে আনলে সেখানে চিকিৎসক হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তাঁর লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। হোসেনের ছেলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগী তারা উভয়েই সম্পর্কে ভালো বন্ধু ছিলেন। গত ২ জুন চট্টগ্রাম–১০ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আফছারুল আমীনের মৃত্যু হয়। এরপর ৩০ জুলাই সেখানে উপ–নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় নির্বাচনের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে হোসেনের সঙ্গে তার বন্ধুর শত্রুতা তৈরি হয়। এর জের ধরে রোববার তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে হোসেন প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন।

Scroll to Top