চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ৯টায় চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিএএফ জহুরুল হক ঘাঁটিতে নিহতের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, আসিম জাওয়াদের বাবা ডা. মো. আমান উল্লাহসহ বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান ঘাঁটি জহুরুল হকের এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম শফিউল আজম ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার পর আসিমের স্বজন ও সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রথম জানাজার পর তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে।
দুর্ঘটনার পর বিমানের দুই পাইলট উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খাঁন ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন।
বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য তাকে বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের জন্ম ১৯৯২ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার গোপালপুর গ্রামে।
আসিম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তার ছয় বছরের এক ছেলে ও দেড় বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে আসিম চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহরুল হকের অফিসার্স আবাসিক এলাকার নীলিমাতে বসবাস করতেন।
তিনি ২০০৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারিতে তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার নিয়ে কমিশন লাভ করেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস