চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই)-এর নেতৃত্বে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি দেশব্যাপী অভিযানে ৯৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (২৭ জানুয়ারি) এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান বলে জানিয়েছে আইসিই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর, যেমন শিকাগো, নিউয়ার্ক (নিউ জার্সি) ও মিয়ামিতে পরিচালিত এই অভিযানে সম্প্রসারিত ক্ষমতাসম্পন্ন একাধিক ফেডারেল সংস্থা অংশ নেয়।
ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপক হারে বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতায় এসে অভিবাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে তিনি ২১টি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন।
শিকাগোতে পরিচালিত অভিযানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ট্রাম্পের সীমান্ত বিষয়ক উপদেষ্টা টম হোমান।
শিকাগোর মেয়র ব্র্যান্ডন জনসন আইসিই-এর অভিযানের কথা স্বীকার করে বলেন, শিকাগো পুলিশ এতে অংশ নেয়নি। তিনি বাসিন্দাদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
মায়ামিতে রবিবার একাধিক অভিযান পরিচালিত হয় বলে শহরের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন জানায়। এতে আইসিই-এর স্থানীয় কার্যালয় বিভিন্ন অভিযোগে অভিবাসীদের আটক করে।
এক ব্যক্তি সিবিএস নিউজকে জানান, আইসিই আমার স্ত্রীকে নিয়ে গেছে। তারা যা করছে তা লজ্জাজনক। তার স্ত্রী নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিলেন বলে তিনি দাবি করেছেন।
নিউয়ার্কের মেয়র রাস বারাকা বলেন, একটি স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আইসিই-এর অভিযানে কোনও পরোয়ানা ছাড়াই অভিবাসী এবং এক সাবেক সেনাকে আটক করা হয়েছে। নিউয়ার্কের বাসিন্দাদের এমনভাবে আতঙ্কিত হতে দেওয়া হবে না।
অভিবাসন অধিকারকর্মীরা সতর্ক করেছেন, এই অভিযানের সময় বৈধ নাগরিকসহ অন্যরাও ভুলবশত আটক হতে পারেন।
আইসিই প্রধান টম হোমান এ বিষয়ে বলেন, অভিযানে ধরা পড়া অপরাধী অভিবাসীদের পাশাপাশি অনথিভুক্ত অভিবাসীরাও বহিষ্কৃত হবেন।
রবিবার এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোমান বলেন, গ্রেফতার ও বিতাড়নের সংখ্যা ক্রমেই বাড়বে।
রবিবার ৯৫৬ জনকে গ্রেফতার করা ছাড়াও শনিবার ২৮৬, শুক্রবার ৫৯৩ এবং বৃহস্পতিবার ৫৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জো বাইডেনের চার বছরের শাসনামলে ১৫ লাখ অভিবাসীকে বিতাড়িত করা হয়েছিল, যা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বিতাড়িত অভিবাসীর সংখ্যার সমান।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি