চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ কক্সবাজারে অস্ত্রের মুখে অপহৃত এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫। এসময় অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। অপহৃত জাহেদ হোসাইন (২৫) উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের গায়ালা মারা এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।
এর আগে সোমবার (২৫ মার্চ) ভোরে রামু থানাধীন রাজারকুলের উমখালীর গহীন পাহাড়ি এলাকায় অপহৃত সিএনজি চালককে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন উমখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক নারী ও এক পুরুষ কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে লিংক রোড এলাকায় যান। সেখানে চালক জাহেদ হোসাইনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় গহীন পাহাড়ে। সেখানে গিয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে চাওয়া হয় ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ। সর্বশেষ অপহরণকারীরা জানায় ২৫ মার্চ রাতের মধ্যে অর্থ না দিলে জাহেদকে কেটে টুকরো টুকরো করে লাশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ পরিস্থিতিতে জাহেদের স্বজনেরা র্যাবের শরণাপন্ন হন।
স্বজনদের অভিযোগ পেয়ে তৎক্ষণাৎ তদন্তে নামে র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল। ছায়া তদন্ত শেষে দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টা স্থানীয় গ্রামবাসীর সহায়তায় ব্লক রেইড অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অপহৃত সিএনজি চালককে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধারের পাশাপাশি অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তারা আরো জানান, অপহরণের পর থেকেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে র্যাবের অভিযানের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। এ সময় পাহাড়-অরণ্য বেষ্টিত এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থান চিহ্নিত করে কয়েকশ গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীদের আস্তানা ঘিরে ফেলা হয়। একপর্যায়ে ২৫ মার্চ ভোরে অভিযানকারীদের উপস্থিত টের পেয়ে অপহৃত জাহেদকে অকুস্থলে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারী চক্রের বেশিরভাগ সদস্য। এ সময় দুর্গম পাহাড়ি ঢাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জাহেদকে উদ্ধারের পাশাপাশি এক অপহরণকারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
এই বিষয়ে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম চাটগাঁ নিউজকে বলেন, অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেনের নির্দেশে আমরা এই অভিযানের পরিকল্পনা করি। কক্সবাজার থেকে অপহরণ মুক্তিপণের এই চক্র নির্মূলে ভবিষ্যতেও র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন