চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে মাঠে নামছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)।
আজ শুক্রবার (২ মে) রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে সমাবেশটি আয়োজিত হবে।
সমাবেশের আগে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
এতে তিনি লেখেন, ‘যদি কিন্তু অথবা ছাড়া গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অনুষ্ঠেয় বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিন। ’
সমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানানোর জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ মে) হাসনাত আবদুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, চিন্ময়ের জামিনকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। চিন্ময়ের ঘটনার শুরু থেকেই ভারতীয় আধিপত্যবাদ এ দেশের ওপর অন্যায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছে।
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন চেষ্টার অভিযোগ বহুদিন ধরে করে আসছেন হাসনাত। গত ২০ মার্চ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “আমাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, আসন সমঝতার বিনিময়ে আমরা যেন এ প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদের বলা হয়, এরই মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা না-কি ভালো। ”
‘আমাদের আরও বলা হয়, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল-মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে। আমাদের এ প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তাৎক্ষণিক বিরোধিতা করি এবং আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করার কথা জানাই’, যোগ করেন হাসনাত।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার দেড় দশকেরও বেশি সময়ের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। ক্ষমতাচ্যুতির পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ভারতে। তার আগে-পরে বিভিন্ন দেশে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও মন্ত্রী-এমপিরা।
ওই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার অনুগত নিরাপত্তা বাহিনী ও তার দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের হামলাসহ সংঘাতে ১৪শ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন