চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের আবেদনের ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘টাইমড আউট’র নজির দেখেছিল ক্রিকেটবিশ্ব। এবার পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপের ম্যাচে টাইমড আউট হয়েছেন ব্যাটসম্যান শোয়েব মাকসুদ। চলমান এই টুর্নামেন্টে (শনিবার) আজাদ জম্মু এবং কাশ্মীরের মুখোমুখি হয়েছিল মুলতান। সেখানে ব্যাটিংয়ে দেরিতে ক্রিজে আসায় টাইমড আউটের শিকার হন মাকসুদ।
কিছুদিন আগে বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগের খেলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এমন আউট করেছিল বাংলাদেশ। লঙ্কান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস যে হেলমেট নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন, সেটিতে তিনি নিরাপদ বোধ করছিলেন না। পরে নতুন আরেকটি হেলমেট নিয়ে আসা হয়। সেটিতেও খানিকটা সমস্যা ছিল। তাই আবারও হেলমেট পরিবর্তন করতে চান ম্যাথিউস। কিন্তু ততক্ষণে তিন মিনিটেরও বেশি সময় পার হয়ে যায়। ফলে টাইমড আউটের আবেদন করেন সাকিব। আর তাতে নিয়ম অনুযায়ী আউট দেন আম্পায়াররা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার ঘটে এমন ঘটনা। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে এর আগে ৬ বার টাইমড আউট হয়েছেন ব্যাটাররা।
এমসিসির আইনের ৪০.১.১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ‘একজন ব্যাটারের আউট হয়ে যাওয়া বা রিটায়ার্ড হার্টের পর যে ব্যাটসম্যান আসবেন, তাকে অথবা অন্য ব্যাটসম্যানকে ৩ মিনিটের মধ্যে বলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। অন্যথায় যে ব্যাটসম্যান নামছেন, তাকে আউট হতে হবে।’
কোনো বলের মোকাবিলা করার আগেই ঘরোয়া ক্রিকেটে শোয়েব মাকসুদের এই টাইমড আউটের ঘটনাসহ বিদায় হয়েছে ৭ ব্যাটারের। ম্যাথিউসের উইকেটসহ সবমিলিয়ে ক্রিকেটে টাইমড আউটের সংখ্যাটা দাঁড়াল আটে। এই উইকেটে বোলারদের কোনো কৃতিত্ব নেই। ব্যাটসম্যানের অসতর্কতায় প্রতিপক্ষ দল এই সুবিধা পেয়ে যায়।
এর আগে ম্যাথিউসের টাইমড আউটের ঘটনায় সাকিবের পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার এবং বিশ্লেষকরা। এর মধ্যে পাকিস্তানের বড় একটা অংশ সমালোচনা করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়কের। তাদের যুক্তি— এ ধরনের আউট নিয়ম অনুযায়ী বৈধ হলেও, ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী। এবার সেই ঘটনা তাদের দেশেও দেখতে হলো!