চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : মাওলানা রইস উদ্দিনকে হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতার দাবিতে চট্টগ্রামে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সড়ক অবরোধকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পাঁচলাইশ থানার ওসি, এএসআই ও কনস্টেবলসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও ১২ জনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ মে) নগরের মুরাদপুরের আশপাশের এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, আরিফুল ইসলাম প্রকাশ ইয়াছিন (২৩), মো. আব্দুল মালেক (১৯), খালেদ বিন হোসেন (১৯), ওসমান গনি (১৯), রাকিব হাসান (২২), ইমাম হোসেন (১৯), আব্দুল কাদের মোহাম্মদ নকিব (২১), আবু সুফিয়ান (২৩), জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রাশেদ (১৯), মোস্তফা হোসাইন সোয়াইব (২৩), বোরহান উদ্দিন (২২) ও এনামুল হক হাসান (২৩)।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান, এএসআই মুসলিম উদ্দিন, কনস্টেবল মো. আশরাফ উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. আবু শাকিল।
এর আগে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ধাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটে। সকাল ৯টা থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত।
মুরাদপুর, বিবির হাট, ষোল শহর জামেয়া আহম্মাদীয়া মাদ্রাসা এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ট্রিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেট নিক্ষেপে করে।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল সোয়া নয়টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইসলামী ছাত্রসেনা, ইসলামী ফ্রন্ট, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সদস্যরা মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবিতে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিত অবরোধ কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় হাতে কাঠ ও বাঁশের লাঠি, ইট-পাথর নিয়ে একটি মিছিল নগরের পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর মোড়ে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্থাপনা ও গণপরিবহন ভাংচুর করে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙচুর রোধে আন্দোলনকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। এসময় তারা ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা করে। এলোপাতাড়ি ইট-পাথর ছুঁড়ে মারে। এতে আমিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি।
তিনি আরও জানান, সরকারি-বেসরকারি জানমাল রক্ষায় ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং গ্যাস সেল ব্যবহার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকা থেকে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ