আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রায় দুই বছর পর তিহার জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে বীরভূমের কেষ্ট। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারতের রাজধানী দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের আদালত গরু পাচার মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন অনুব্রত মণ্ডলকে।
জানা গেছে, এই জামিনের পরেই আগামী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জেল মুক্তি পেয়ে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়িতে ফিরছেন তিনি। ১০ লাখ রুপির বন্ড ও তার ব্যক্তিগত ভারতীয় পাসপোর্ট আদালতের কাছে জমা রাখার শর্তে কেষ্টকে জামিন দেন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের আদালত।
এর আগে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় অনুব্রত জামিন পেলেও ইডির মামলায় জামিন না পাওয়াতে তার জেলমুক্তি আটকে ছিল। এবার সেই ইডির মামলাতেও জামিন পেলেন বীরভূমের কেষ্ট হিসেবে পরিচিত এই নেতা।
২০২২ সালে ১১ আগস্ট বীরভূমের নিচুপট্টি এলাকার অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে গরু পাচার মামলায় গ্ৰেফতার করে সিবিআই। পরে আর্থিক তছরূপের অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মামলা করে তার বিরুদ্ধে। সেই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতারের পর প্রথমে অনুব্রত মণ্ডলকে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘদিন আসানসোলের সংশোধনাগারে থাকার পর ইডির মামলায় গ্রেফতারির পর দিল্লির তিহার জেলে ঠাঁই হয়।
অনুব্রত মণ্ডলকে গ্ৰেফতার করার কিছু দিন পরেই এই গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তার কন্যা সুকন্যা মন্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের কয়েকদিন আগেই জামিন পেয়েছেন তার কন্যা সুকন্যা মন্ডল। অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই ও ইডি গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার প্রথম থেকেই তার পাশে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীসহ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।
তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য নেতৃত্ব। একমাত্র অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূম জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়নি।
দুর্গা পুজোর আগেই বীরভূমে ফিরবেন কেষ্ট এই খবরেই স্বাভাবিকভাবে খুশি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ