চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং তিনটি ‘নোট অব এক্সচেঞ্জ’ সই করেছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের মালয়েশিয়া সফরের প্রথম দিন পুত্রজায়ায় এসব চুক্তি সই হয়।
আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
জানা গেছে, পাঁচটি সমঝোতা স্মারকের প্রথমটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে। এতে স্বাক্ষর করেন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতো সেরি মোহাম্মদ খালেদ বিন নরদিন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকটি তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ, এলএনজি অবকাঠামো, পেট্রোলিয়াম পণ্য ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো খাতে সহযোগিতা নিয়ে। এতে স্বাক্ষর করেন মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত অর্থনৈতিক মন্ত্রী দাতুক সেরি আমির হামজা বিন আজিজান এবং বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা এম ফাওজুল কবির খান।
তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি মালয়েশিয়ার ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (আইএসআইএস) এবং বাংলাদেশের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)-এর মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে। এতে স্বাক্ষর করেন আইএসআইএস মালয়েশিয়ার চেয়ারম্যান দাতুক প্রফেসর ড. মোহদ ফাইজ আবদুল্লাহ এবং মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
চতুর্থ সমঝোতা স্মারকটি মাইমোস সার্ভিসেস এসডিএন বিহাড এবং বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই)-এর মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে। এতে স্বাক্ষর করেন মাইমোস সার্ভিসেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফাউজি ইয়াহায়া এবং বিএমসিসিআই-এর শাব্বির আহমেদ খান।
পঞ্চম সমঝোতা স্মারকটি মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এনসিসিআইএম) এবং বাংলাদেশের এফবিসিসিআইর মধ্যে। এতে স্বাক্ষর করেন এনসিসিআইএমের সভাপতি দাতো সেরি এন. গোবালাকৃষ্ণন এবং এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।
এ ছাড়া প্রথম নোট অব এক্সচেঞ্জটি হয় উচ্চশিক্ষা খাতে সহযোগিতার ওপর। এতে স্বাক্ষর করেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি উতামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
দ্বিতীয় নোট অব এক্সচেঞ্জটি কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত। এতে স্বাক্ষর করেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তৃতীয় নোট অব এক্সচেঞ্জটি হালাল ইকোসিস্টেমে সহযোগিতা বিষয়ে। এতে স্বাক্ষর করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উপমন্ত্রী সেনেটর ড. জুলকিফলি বিন হাসান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
উল্লেখ্য, ‘নোট অব এক্সচেঞ্জ’ হলো একটি লিখিত দলিল, যা সাধারণত দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন বা অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ