চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, তার ভাতিজা আ ন ম সেলিম উদ্দীনসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিএনপির মশাল মিছিলে হামলার অভিযোগ এনে সাতকানিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে সাতকানিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে শোনা যাচ্ছে অজ্ঞাত স্থান থেকে মামলা থেকে অব্যহতি পেতে জোর তদবির চালাচ্ছেন। গোপনে জামায়াতের সঙ্গে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপনেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও নদভীর পিএস এরফানুল করিম চৌধুরী, বাজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত ও উত্তর সাতকানিয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ছালেহ শান। এছাড়া মামলায় বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরকেও আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামায় আসামি করা হয়েছে আরো ২০-৩০ জনকে।
মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমান চাটগাঁ নিউজকে বলেন, আওয়ামী লীগের জনবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিরোধিতা করে বিএনপির উদ্যোগে বের করা মশার মিছিল শেষে চলে যাওয়ার সময় অতর্কিতে হামলা করলে আমিসহ অনেক নেতা-কর্মীকে আহত হয়। এ সময় পুলিশ আহত অবস্থায় আমাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়। ২৭ দিন পর আমি আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হই। নদভীর নির্দেশেই মূলত পুলিশ আমাকে সেদিন আটক করে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল খান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মামলার এজাহার ও বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও অবৈধ নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এ মিছিলটি শেষ করে চলে যাওয়ার সময় দস্তিদারহাট সংলগ্ন গ্রীন টাচ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সাবেক এমপি নদভীর নির্দেশে অন্যান্য আসামিদের উপস্থিতিতে ওই মিছিলে আক্রমণ করে ৫-৬ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়। পরে পুলিশ এসে সড়কে পড়ে থাকা গুরুতর আহত ও মামলার বাদী মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মো. জাহেদ নামে এক ব্যক্তি হত্যা ও ভাংচুরের একটি মামলা দায়ের করেন আবু রেজা নদভীসহ ৭৩ জনকে আসামি করে। মূলত এর পর থেকেই নড়েচড়ে বসেন সাবেক এই এমপি। অজ্ঞাত স্থান হতে যোগাযোগের চেষ্ঠা করছেন জামায়াতের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে। নতুন করে সম্পর্ক গড়ার চেষ্ঠা করছেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ও শাহজাহান চৌধুরীর সাথে এমনটি শোনা যাচ্ছে সাতকানিয়াজুড়ে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ