নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেছেন, মাদক নির্মূলে শুধু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টাই যথেষ্ট নয়। সুষ্ঠু ও সুন্দর মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সমাজের সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে মাদক ব্যবসায়ী বা মাদকসেবীদেরকে অসুস্থ জীবন থেকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিতে হবে
জাতিসংঘ ঘোষিত “মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস” উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) স্টেশন রোডস্থ বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন হোটেল সৈকত’র ব্যাঙ্কুয়েট হলে চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আলোচনা সভা, র্যালী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন আরও বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমরা যারা উপস্থিত হয়েছি সবাই মাদকের বিরুদ্ধে যোদ্ধা। আরো একটি গোষ্ঠী রয়েছে যারা আমাদের শত্রু। ওই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের দায়িত্বকে সবার সামনে তুলে ধরতেই আজকের এই আয়োজন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবীর ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জ অতিরিক্ত ডিআইজি ওয়াহিদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, বিপিএম (বার), চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, র্যাব-৭ চট্টগ্রাম অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান (পিএসসি) প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, মাদককে না বলার মাধ্যমে সুখী সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তোলা আজ সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে প্রজন্ম সমাজকে সতর্ক ও সচেতন করে তুলতে হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার, কোস্ট গার্ড, বাংলাদেশ কাস্টমসসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে কাজ করে আসছে। ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত সময়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগ কর্তৃক ৯ হাজার ৫৯৬টি অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৬৫৮টি মামলা রুজু করা হয়। আসামীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৫৬ জন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগে বর্তমানে সরকারিভাবে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট একটি মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্র ও বেসরকারি পর্যায়ে ৪৪টি মাদকাসক্তি নিরাময়/পুনর্বাসন কেন্দ্রের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত মাদকাসক্তি নিরাময়/পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহের অনুমোদিত শয্যা সংখ্যা ৬২৫।
দিবস উপলক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় পৃথক চারটি ক্যাটাগরিতে মোট ২১ জন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো: শামীম হোসেন।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ