মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় নৌকার প্রচারে সরগরম, সাথে আছে নোঙ্গরও

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নির্বাচনের শেষ মুর্হুতে এসে কন কন শীত উপেক্ষা করে বেশিরভাগ রাতে জমে উঠেছে প্রচারনা ও পথসভা। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়ার) আসনেও চলছে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা। এই আসনটি বর্তমান সরকারের পেষ্টিস ইস্যুর আসন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প,গভীর সমুদ্রবন্দরসহ এক গুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্প হচ্ছে এই উপজেলায়। তাই আসনটি হাতছাড়া করতে চাইনা ক্ষমতাসীনদল আওয়ামীলীগ।

ইতিমধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনা,উঠান বৈঠক, ও গণসংযোগ শুরু করেছেন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়ার) সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুইবারের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক। পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট হাট বাজার ও চায়ের দোকান।

এখানে আওয়ামী লীগের প্রধান পুঁজি উন্নয়ন। তাই আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয় করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ সর্বস্তরের লোকজন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ভোটাররা বলছেন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করবেন। আবার অনেক ভোটার ঝুঁকছেন নোঙ্গর মার্কার দিকে।

এ আসনে বিএনপি জামায়াত অংশ না নেওয়ায় নৌকার বিজয়ের পথ খুব সহজ ছিল। তবে এ সহজ টাকে কঠিনে পরিনিত করেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান (বিএনএম) থেকে শরীফ বাদশাহ। নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে সমানতালে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কাজেই ভোট শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সরকার নিতে চাইলেও সিংহভাগ ভোটারের মনে শান্তি নাই, আমেজ নাই। অতি সহজেই জয় হবার সম্ভাবনা থাকলেও নোঙ্গর প্রর্তীক এসে বিপত্তি দেখা যাচ্ছে নৌকার জন্য। নৌকার চলার পথে নোঙ্গরের টান পড়েছে। তবে ও আসনে নৌকার বিজয় হবে বলছে অনেকে। শেষ পর্যন্ত সহজেই জয় হবে নাকি কঠিন হবে এটি নির্বাচনের শেষ প্রান্তে বোঝা যাবে।

এদিকে নৌকার পক্ষে সমান তালে প্রচারনা ও ঘরোয়া বৈঠক, পথসভা করে মহিলাদের ভোটের মাঠে সাড়া ফেলেছেন আশেক উল্লাহ রফিকের সহধর্মিণী শাহেদা আক্তার রুমা। আর আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দুইবারের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)-এর সাবেক মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা মার্কা নোঙ্গর থাকায় জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ।

তারা নিজেদের বিজয় নিশ্চিতে ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। তবে ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন প্রার্থীরা। সাধারণ ভোটারদের আলোচনা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে। বিএনপি মাঠে না থাকায় ভোটার উপস্থিতি নিয়েও কৌশলে আগাচ্ছেন প্রার্থীরা।
ইতোমধ্যেই মহেশখালীর বিভিন্ন জায়গায় পথ সভা, নির্বাচনকালীন অস্থায়ী কার্যালয় করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন নৌকার প্রার্থী ও নোঙ্গর নিয়ে শরিফ বাদশা।

অপরদিকে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়াও নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম। ২৭ বর্গকিলোমিটারের এই উপজেলা জামায়াত-বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত। কিন্তু এবার প্রচারণায় নোঙ্গরের চেয়ে সেখানে নৌকার প্রাধান্য বেশি। সড়কের ওপর, দোকানপাট, অলিগলি এবং দ্বীপে উঠা–নামার জেটি-চারদিকে নৌকার প্রতীক। মাঝেমধ্যে চোখে পড়েছে নোঙর প্রতীকের পোস্টার। তবে কুতুবদিয়া স্বাধীনতার পরবর্তী বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ আশেক উল্লাহ রফিকের শাসন আমলে হওয়ায় কুতুবদিয়া ভোটার মাঠে তেমন প্রভাব ফেলাতে পারেনি শরীফ বাদশার নোঙ্গর মার্কা।

মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার নির্বাচনে দায়িত্ব থাকা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মীকি মারমা চাটগাঁ নিউজকে বলেন “নির্বাচনি পরিবেশ এখনো ভাল রয়েছে,প্রার্থীরা সুন্দর পরিবেশে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে”।

প্রার্থীদের এই প্রচারণা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। সব কিছু ঠিক থাকলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি।

Scroll to Top