মহেশখালী প্রতিনিধি : বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা ছাড়াই ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কক্সবাজারের মহেশখালীতে কোন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শেষ করতে পেরেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা বিমেলেন্দু কিশোর পাল।
সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলছে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এ দুই উপজেলায় ভোটাররা ভোট দিয়েছেন ইভিএমের মাধ্যমে।
এ উপজেলায় ভোটের আগের দিন পর্যন্ত ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু ভোটের দিন সকাল থেকে এ আমেজ ম্লান করে দিয়েছে বৃষ্টি। এদিন ভোর থেকে উপজেলা জুড়ে কোথাও মাঝারি কোথাও হালকা ধরনের বৃষ্টি হয়েছে।
মহেশখালীর কয়োটি কেন্দ্রে বৃষ্টির কারণে দীর্ঘ লাইন করে দাঁড়াতে পারেনি ভোটাররা। তবে বারান্দায় ছোট ছোট লাইনে অপেক্ষমান ছিল ভোটাররা।
এছাড়া বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় ভোটাররা ধীরে ধীরে কেন্দ্রে এসেছে ভোটাররা। বেলা ১১টার পরে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে উঠলে কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি মোটামুঠি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মোবাইল টিম এবং একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স টহলরত রয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সাদা পোষাকে পুলিশ, আনসার, র্যাব এবং বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলরত ছিল।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৫ জন তারা হলেন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী (মোটর সাইকেল), হাবিব উল্লাহ (টুপি), জয়নাল আবেদীন (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে সরগরম প্রচারণায় গণজোয়ার সৃষ্টি করেছেন। শরীফ বাদশাহ (আনারস) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আব্দুল্লাহ আল নিশান ( চিংড়ি মাছ) তিনি ডামি প্রার্থী।
ইভিএমের মাধ্যমে ৮৬ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪ শত ৫৮ জন। তারমধ্যে, এক লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৯০ জন পুরুষ ভোটার এবং ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৬৮ জন মহিলা ভোটার। ৮৬ কেন্দ্রের ৩৭৮ টি বুথে ভোট গ্রহন হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/হোবাইব/এসআইএস