মহেশখালীতে বৃষ্টিতে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, চলাচলে চরম ভোগান্তি

মহেশখালী প্রতিনিধি: টানা ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে কক্সবাজারের মহেশখালীর উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ দিকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।.

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ১-২ দিন থাকতে পারে বলে জানান কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান।

তিনি বলেন, এই বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় উপজেলার কুতুবজোম, মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল, ধলঘাটা ও ছোট মহেশখালীর নিম্নাঞ্চল। লোকালয়ের রাস্তাঘাট, দোকানপাট ও শত শত ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে ভেঙে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সকাল থেকে তীব্রভাবে চলছে লোডশেডিং। এতে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করছেন।

এই দিকে বিশেষ করে বৃহস্পতিবার একদিনের টানা ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে কক্সবাজারের মহেশখালীর উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সাগরের ওপর ঘনীভূত লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় হঠাৎ জোয়ারের পানি স্বাভাবিক চেয়ে দ্বিগুণ উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিতে ডুবে দানু মিয়া নামে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে কক্সবাজার উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় জোয়ার হতে পারে। নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় উপকূলীয় এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপকূলের নিকটবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেইসঙ্গে ছোট ট্রলার ও নৌযানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেদায়েত উল্যাহ বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং দুর্যোগ পরবর্তী সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে প্রশাসন। বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

চাটগাঁ নিউজ/সজীব/এমকেএন

Scroll to Top