মহেশখালী প্রতিনিধি: বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড় দ্বীপ মহেশখালীতে প্যারাবনের অসংখ্য বাইন গাছ নিধন করে সরকারি জমি দখল করে চিংড়ী ঘের করার অপরাধে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে মহেশখালী থানায় মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
সোমবার (৮ জুলাই) পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক ফাইজুল কবির বাদি হয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইনে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী।
জানা যায়, উপজলোর প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকা সোনাদিয়া দ্বীপের ঘটি ভাঙ্গা মৌজার বহদ্দার খালের পূর্ব ও পশ্চিম পশে ২টি স্পট (জিপিএস পয়েন্ট,বহদ্দার খালের শেষ মাথা ২ টি স্পট (জিপিএস পয়েন্ট), মোছখালী খালের পূর্ব ও পশ্চিম পশে ২টি স্পট (জিপিএস পয়েন্ট) এবং সোনাদিয়া পশ্চিম পাড়ায় ০১টি স্পট জিপিএস পয়েন্টে হাজার হাজার বাইন গাছ কেটে কয়েক হাজার একর সরকারি জমি দখল করে আসছে ভূমিদস্যুরা। এ নিয়ে বন বিভাগ কয়েকটি মামলা করলেও এতদিন নিশ্চুপ ছিল পরিবেশ অধিদপ্তর।
অবশেষে ২৬ জন বনখেকোদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সরকারি এই সংস্থাটি। মামলায় আসামিরা হলেন, সোনাদিয়ার ২নং ওয়ার্ডের খলিলুর রহমানের পূত্র সাবের আহমেদ (৪৮), বড় মহেশখালীর ফকিরা ঘোনার মৃত আনোয়ার পাশার পূত্র মহসিন আনোয়ার (৫০), ঘটিভাঙ্গার ওসমান আলী (৬১), পশ্চিম ফকিরাঘোনার শ্রমিকলীগ নেতা জসিম উদ্দীন (৪০), জাগিরাঘোনার মোস্তাক আহমেদের পূত্র সাজেদুল করিম (৪৫),ঘটিভাঙ্গার মৃত নেজাম আলীর পূত্র রবিউর আলম (৪২), সোনাদিয়া পূর্বপাড়ার মোজাফর আহমেদের পূত্র মো. ফারুক (৪১), জাহাঙ্গীর আলম (৪২), জাফর আলম (৬০), মো. তারেক (৩৫), আমিরুজ্জামান (৬২),সাজ্জাদুল করিম (৩৮), নুরুল আমিন খোকা (৪১) (সাবেক মেম্বার), মো. ছিদ্দিক রিমন (৩৯), শাহাদাত কবির (৪৫), সোনামিয়া (৩৭), নুরুল আমিন (সাবেক চেয়ারম্যান) (৬২), শহিদুল্লাহ সিকদার (৬৮), মো. নেজাম (৪৩), আমির হোসেন (৫৪), নাসির উদ্দিন (৫০), শফি আলম (৪৫), মো. আলম শরিফ (৪৭), জয়নাল আহমদ (৪৫), আমির হোসেন (কোম্পানী) (৪৮) ও আজিজুল হক (৪৬)।
মহেশখালী থানার ওসি অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে একটি মামলা করা হয়েছে এবং মামলার পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করা হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/হুবাইব/এআইকে