মহেশখালীতে গলা কেটে গৃহবধূ হত্যা, নাকি আত্মহত্যা

শেয়ার করুন

মহেশখালী প্রতিনিধি: কক্সবাজারের মহেশখালীতে গলা কেটে মোবিনা আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।

গত (৭ জুন) গভীর রাতে উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হামিদুর রহমান পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার ২ দিনের মাথায়  শুক্রবার সকালে হাসপাতালে গৃহবধূ মারা যায়।

নিহত গৃহবধূ মোবিনা বেগম উপ‌জেলার কালারমারছড়ার ইউনিয়নের অফিস পাড়া গ্রামের মৃত- ছালেহ আহমদ এর মেয়ে ও হোয়ানক ইউনিয়নের হামিদুর রহমান পাড়ার প্রবাসী ছৈয়দ মিয়ার স্ত্রী।

নিহত গৃহবধূ মোবিনা আক্তারের শাশুড়ী জানান, গত ৭ জুন রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে সে নিজের গলায় দা দিয়ে পেছিয়ে দেয় এতে তার চিৎকার শোনে আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি তার গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে। পরে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ দিন পর শুক্রবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

এই দিকে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। স্বামীর পরিবার এটিকে আত্মহত্যা বললেও বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

উপজেলার হোয়ানক হামিদুর রহমান পাড়ায় গৃহবধূ নিহতের ঘটনায় দেবর কে অভিযুক্ত করে চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ থানায় নিহত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলে জানালে পাচঁলাইশ থানার ওসি রাত ৮টা ৪০ মিনিটের সময় বিষয়টি নিয়ে অবগত না বলে জানালেন।

এদিকে নিহত গৃহবধূ কে চট্টগ্রামে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে মহেশখালীতে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিহত মোবিনা আক্তারের পরিবার।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার বলেন, প্রবাসী ছৈয়দ মিয়া তার ছোট ভাই আকতারকে বিয়ের জন্য মারা যাওয়া গৃহবধূ নিষেধ করার পরেও নগদ টাকা দিলে স্বামীর সাথ অভিমান করে গলায় ধারালো দা দিয়ে পেছিয়ে জখম করেছে বলে শুনেছি পরে হাসপাতালে ২ দিন পর মারা গেছে।

ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে হত্যা নাকি আত্ন হত্যা।

এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মহেশখালী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী।

Scroll to Top