মরিচের ঝাল আর পেঁয়াজের ঝাঁজে অস্বস্তিতে ক্রেতারা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ঈদের ছুটি শেষে বাড়ি থেকে এখনও নগরে ফেরেননি অনেক মানুষ। ফলে বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। বাজারে ক্রেতাও কম। তবুও চড়া ব্রয়লার মুরগি, ডিম, আলু, কাঁচামরিচ, শসা, টমেটোসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম।

ব্যবসায়ীদের দাবি, ঈদের ছুটির কারণে কৃষকরা ক্ষেত থেকে সবজি তুলছেন না। ব্রয়লারের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম। সে জন্য পণ্যগুলোর দাম বাড়তি। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে আসবে।

শুক্রবার (২১ জুন) নগরের বকশির হাট, রেয়াজুদ্দিন বাজার, চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। তবে এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি, মুরগিসহ প্রায় সব পণ্যের বেশির ভাগ দোকান বন্ধ। ক্রেতাদের আনাগোনাও কম। যে কয়টি খুচরা দোকান খোলা রয়েছে, সেগুলোতেও পণ্যের সরবরাহ কম দেখা গেছে।

কোরবানি ঈদের পর সাধারণত বাজারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কম থাকে। দামও থাকে পড়তির দিকে। কিন্তু এবার বাজারে সে চিত্র দেখা যায়নি। চট্টগ্রামের কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। কোথাও ১৯৫ টাকাও রাখছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া মানভেদে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৪০ টাকায়। গত সপ্তাহেও মুরগির এ দর ছিল। যদিও দরকষাকষি করলে বড় বাজারে গত সপ্তাহে ১৭০ টাকায়ও কেনা যেত ব্রয়লার মুরগি।

ডিমের বাজারে দেখা গেছে বিশৃঙ্খলা। বাজার আর মহল্লায় বড় ব্যবধান থাকলেও বড় বাজারে ফার্মের বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। কিন্তু মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা দরে। কোথাও এর চেয়েও বেশি।

পাথরঘাটা শাহ আমানত স্টোরের বিক্রয়কর্মী আদিনাথ দত্ত বলেন, ঈদের আগে পাইকারি বাজারে ডিমের দর বেশি ছিল। এ ডিমগুলো সে সময় কিনে রাখা। তাই লোকসান দিয়ে বিক্রি করা যাবে না। নতুন করে কম দামের ডিম এলে সে অনুযায়ী বিক্রি হবে।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নগরের বাজারে কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। এছাড়া আলু ৬০, পেঁয়াজ ৯০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঢেড়শ ৫০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, শসা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শিং মাছ কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই মাছ কেজি প্রতি ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা মাছের কেজি ৬০০ থেকে ৫০০ টাকা, ইলিশ মাছ কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ১৮০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত কেজি দর, সরপুঁটি মাছ কেজি প্রতি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। দেশি পুঁটি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বকশির হাটের সবজি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, কোরবানির ঈদের পর শসা, মরিচ, টমেটো বেশি বেচাকেনা হয়। কিন্তু পাইকারি বাজারে এগুলো এখন কম আসছে। এ জন্য দরটা একটু বেশি।

এখনও অস্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে আলুর বাজার। ছোট-বড় সব বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। তবে পাড়ামহল্লার দোকানে কেউ কেউ কেজিতে আরও ৫ টাকা বেশি রাখছেন।

দেশি রসুনের কেজি ২০০ থেকে ২১০ এবং আমদানি করা রসুনের কেজি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশি আদার কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ এবং আমদানি করা আদার কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top