সৌদি আরব প্রতিনিধি: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মক্কা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) রাতে পবিত্র নগরীর চারা মনচুর হোটেল সরাইয়ার হল রুমে মক্কা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক শফিউল আলম মনিরের সভাপতিত্বে মক্কা নগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু তৈয়ব ও ইব্রাহিম চৌধুরী বিল্লু যৌথ সঞ্চলনায় শুরুতে কোরাআন তেলওয়াত করেন মাওলানা আবু রায়হান।
মক্কা মহানগর যুবলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন মক্কা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাশেদুর রহমান।
এ জাতীয় শোক দিবসে প্রধান বক্তা ছিলেন মক্কা মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির আলম জিকু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মক্কা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মেঃ আমির হোসেন, মক্কা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম, মক্কা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সোলাইমান, মক্কা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক হাজ্বী সুমন, উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবু, মক্কা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নবীন খান, মক্কা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সম্পাদক নাছির উদ্দিন, মক্কা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য হাসান জসিম, আবদুল গফুর, আলী আনসার, ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কাউছার আলম ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুবলীগ নেতা মুফিজুর রহমান মুফিজ।
বক্তব্য রাখেন মক্কা আওয়ামী ফাউন্ডেশনের দপ্তর সম্পাদক মোরশেদুল আলম নিবিল, যুবলীগের নেতা জাবের মিয়া জহির উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম শহিদ, রবিউল আলম, মাইন উদ্দিন সবুজ, হাসান আমিন জাহিদুল ইসলাম, আবদুল গফুর, মোঃ পারভেজ ও আবদুল মাজেদ প্রমুখ।
শোক দিবসের আলোচনার শুরুতে বক্তারা, গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্ট নিহত তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের। বক্তারা বলেন, জাতির পিতা ছিলেন বাঙ্গালি জাতির মুক্তির মহানায়ক। তাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র জন্ম নিয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানসহ আমাদের সকল স্বাধিকার আন্দোলনে জাতির পিতা নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণ বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে, বাঙ্গালিকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উদ্দীপ্ত ও দীক্ষিত করে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে নিউজউইক বঙ্গবন্ধুকে “পোয়েট অব পলিটিক্স” বা ‘রাজনীতির কবি’ উপাধি যথার্থ হয়েছিল। বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম ভাষণগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অন্যতম। সবশেষে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।