চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, দলের সকল রাজনৈতিক নেতার মুক্তি দাবি এবং ভোট বর্জনে চলমান অসহযোগের সমর্থনে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় শুরু হয়ে এ হরতাল চলবে সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত। অর্থাৎ ভোটের দিন ৭ জানুয়ারি সারাদিন হরতাল পালন করবে দলটি। আর ভোটের আগের ১৮ ঘণ্টা এবং পরের দিন ৬ ঘণ্টা এই কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে হরতালের এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
এদিকে বিএনপির সমর্থনে আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়ে দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে হরতাল পালনের আহবান জানান তিনি।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ২৮টি দল এতে অংশ নিয়েছে। বিপরীতে বিএনপিসহ বিভিন্ন সরকারবিরোধী দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তফসিল ঘোষণার পরই তারা তা প্রত্যাখ্যান করে ভোটে আসেনি।
অবশ্য, তারও আগ থেকেই সরকারবিরোধী এসব দল একদফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। আর ঘোষণা দেয়, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের কথায়ই অটল থাকে।
একদফা দাবি আদায়ে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পরদিন ২৯ অক্টোবর থেকে গত দেড় মাস ধরে সরকার পতনের আন্দোলনে ধারাবাহিকভাবে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে আসছিল বিএনপি। এ পর্যন্ত ১২ দফায় ২২ দিন অবরোধ এবং চার দফায় ৫ দিন হরতাল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
পরে গত ২১ ডিসেম্বর থেকে ভোট বর্জন ও সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বানে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করে আসছে দলটি। এই কর্মসূচির আওতায় চার দফায় সারাদেশে লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আর এবার ভোটের দিন ঘিরে আবার হরতালের ডাক দিলো বিএনপি।
উল্লেখ্য, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোও এর আগে একই কর্মসূচি পালন করে। এছাড়া, জামায়াতও বিএনপির সঙ্গে মিল রেখে কর্মসূচি দিয়ে আসছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ