চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে হালকা মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভুমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর স্থায়ীত্ব ছিল ২৬ সেকেন্ড। তবে তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রামে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) মাত্রা দেখিয়েছে ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদীতে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ের কর্মকর্তা পলাশ দে বলেন, ‘সকালে অফিসে অন্য সহকর্মীরাসহ কাজ করছিলাম। এ সময় হঠাৎ দেখি, আমাদের পুরো ভবনটি কেঁপে উঠে। ভয়ে আমরা ভবন থেমে নিচে নেমে পরি।’
যোগাযোগ করা হলে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে কর্তব্যরত একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম নগরসহ আশেপাশের এলাকায় হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক শামীম হাসান জানান, ভূমিকম্পজনিত কারণে উৎপাদন বিঘ্নিত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটেছে। বাঁশখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ ছিল, ভূমিকম্পের পর আরেকটি ইউনিটও বন্ধ হয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। তবে ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে ৬ দশমিক ৯৯ মাত্রার ভূমিকম্পে নগরে ১২টি ভবন হেলে পড়েছিল। এর আগে ১৯৯৭ সালের ২১ নভেম্বর ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে নগরে পাঁচতলা ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে নগরে ৩ লাখ ৮২ হাজার ভবনের মধ্যে ২ লাখ ৬৭ হাজার ভবন কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ






