ফটিকছড়ি প্রতিনিধিঃ ফটিকছড়িতে কৃষকদের দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর করার লক্ষ্যে ও সেচ কাজের সুবিধার্থে ভুজপুর হরিণা খাল পুনঃখননের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। আর এই খাল খননের মধ্য দিয়ে কৃষকরা বুনছেন নতুন এক স্বপ্নের বীজ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংকুচিত হওয়া মৃতপ্রায় খালটির দু পাশ থেকে স্কেভেটর দিয়ে মাটি সরানো হচ্ছে।
এই খাল পুনঃখনন হলে ব্যাপক সাড়া ফেলবে ফটিকছড়ির কৃষি খাতে। বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে সেচকাজ পরিচালনা সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হলে খালের দুই পাশের এক হাজার একর জমি বোরো মৌসুমে সেচের আওতায় আসবে। পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে খালের আশেপাশের বিলগুলো জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকবে। এ খাল কাটার পর থেকে খালটি কখনও পুনঃখনন করা হয়নি। ফলে খরস্রোতা খালটি দুই পাশের মাটি জমে মরে যায়। পানির অভাবে অনেক জমির বোরো চাষাবাদও বন্ধ হয়ে যায়। তবে, খাল খননের পর পানির প্রবাহ ঠিক থাকলে আগামীতে আবারও ক্ষেতগুলো বছর জুড়ে ফসলে ভরে থাকবে মাঠ। খাল খননের ফলে ভূজপুর ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার কৃষক উপকৃত হবেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভূজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী সিপন চাটগাঁ নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হরিণা খালটি ভরাট হয়ে পড়ে আছে। খালের আশেপাশে কৃষি জমি গুলো শুকনা মৌসুমে চাষাবাদ করতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতেন কৃষকরা। কৃষকদের কথা চিন্তা করে খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছি। খনন কাজ সম্পন্ন হলে হাজার হাজার একর জমিতে আবারো চাষাবাদ করতে পারবে কৃষকরা।
এ বিষয়ে বিএডিসি চট্টগ্রামের সহকারী প্রকৌশলী তমাল দাস বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্প চট্টগ্রামের উদ্যোগে ১২ মিলোমিটার খাল খনন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে এ বছর ৪ কিলোমিটার খাল খনন শুরু হয়েছে। পরবর্তী বছর ৮ কিলোমিটারসহ ১২ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। এখানে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮ লক্ষ টাকা। খাল খননে কৃষকরা লাভবান হবেন পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে জলবদ্ধতা থাকবেনা।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন